প্রতীকী ছবি।
চলতি বছরের মধ্যেই বেআইনি অর্থ লগ্নি সংক্রান্ত সব মামলার তদন্ত গুটিয়ে আনতে চাইছে সিবিআই। সেই জন্য কয়েক দিনের মধ্যেই বকেয়া আরও ৮২টি মামলা রুজু করতে চলেছে তারা। ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তা নির্দেশ দিয়েছেন, এ বছরের মধ্যে হাতে থাকা সব মামলায় এফআইআর করে তদন্ত শেষ করতে হবে। সারদার চূড়ান্ত চার্জশিটের খসড়া দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। রোজ় ভ্যালি, প্রয়াগ, আইকোর, টাওয়ারের মতো সংস্থার তদন্ত শেষের পথে। সিবিআইয়ের হাতে থাকা আরও ৮২টি মামলার তদন্ত একযোগে শুরু হচ্ছে। ২০২০-র শেষে সেগুলির চার্জশিট জমা পড়তে পারে।
ফলে লগ্নি-তদন্তের আবহে ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে আরও এক বার রাজ্য-রাজনীতি সরগরম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সিবিআই-কর্তারা বলছেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঁচ বছর ধরে লগ্নি সংস্থার আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত চলছে। তা অনন্তকাল চলতে পারে না। ৮২টি নতুন মামলার তদন্ত শেষ করলে সিবিআইয়ের হাতে আর এমন মামলা থাকবে না। বকেয়া মামলাগুলিতে ছোট ছোট সংস্থা জড়িত, তাই তদন্ত দ্রুত শেষ হবে।’’
সিআইডি ২০১৪ সালে সারদা নিয়ে ৩৯৩টি অভিযোগ সিবিআই-কে দিয়েছিল। সেখান থেকে বাছাই করে ৭৮টি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালানো হয়েছে। পেশ করা হয়েছে কয়েকটি চার্জশিটও। এক সিবিআই-কর্তা বলেন, ‘‘সারদার তদন্ত শেষ। চূড়ান্ত চার্জশিটের খসড়া দিল্লির সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশিত পথে ২০ জন ‘প্রভাবশালী’ ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমোদন এলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে হয় চার্জশিট পেশ করা হবে অথবা শুরু হবে জিজ্ঞাসাবাদ।’’
আরও পড়ুন: ত্রাণে দুর্নীতির নালিশ, তৃণমূলের কড়া মোকাবিলা
কিন্তু সারদা তদন্ত গুটিয়ে আনতে চার্জশিটের অনুমোদন আসছে না কেন? এক সিবিআই-কর্তা জানান, ‘প্রভাবশালীরা’ অভিযুক্ত বলেই সিবিআইয়ের আইনি শাখা প্রতিটি অভিযোগের খুঁটিনাটি পরীক্ষা করছে।
রাজ্য সিআইডি ২০১৪-র ৯ মে ৫৭৮টি লগ্নি সংস্থার নয়ছয় সংক্রান্ত অভিযোগ সিবিআই-কে দিয়েছিল। সেই সব অভিযোগ করেছিলেন প্রতারিত আমানতকারীরা। সিআইডি অভিযোগ দায়ের করলেও সর্বোচ্চ আদালত তদন্তভার দেয় সিবিআই-কে। সারদা ছাড়া সেই ৫৭৮টি মামলার মধ্যে ১৬৩টি অভিযোগের তদন্ত এখনও করতে পারেনি সিবিআই। সেগুলির মধ্য থেকেই বাছাই করে ১০২টি এফআইআর দায়ের করার জন্য দিল্লিতে সিবিআইয়ের সদর দফতরে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন কলকাতার যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব। সদর থেকে তার অনুমোদন এসেছে। কিন্তু ১০২টি মামলার মধ্যে ২০টি ক্ষেত্রে স্থানীয় থানা ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে। সেগুলি বাদ দিয়ে বাকি ৮২টি মামলা এ বছর শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ক্ষতি ছাড়াই টাকা নিয়ে এখন ভয়ে ফেরানোর হিড়িক
এক সিবিআই-কর্তা জানান, এই মামলাগুলি মূলত ছোট লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে, যারা ১৫০-২০০ কোটি টাকা তুলেছিল। বড় সংস্থাগুলির তদন্ত অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার যে-হেতু সিবিআই তদন্তে ‘জেনারেল কনসেন্ট’ প্রত্যাহার করে নিয়েছে, তাই কলকাতার দুর্নীতি দমন শাখা এবং আর্থিক অপরাধ দমন শাখার হাতে কোনও কাজ নেই। বকেয়া এফআইআরগুলির অর্ধেক কাজ ওই দু’টি শাখার হাতে তুলে দেওয়া হবে। বাকি কাজ করবে লগ্নি-তদন্তে বিশেষ ভাবে গঠিত চার নম্বর আর্থিক অপরাধ দমন শাখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy