মলয় ঘটক। —ফাইল চিত্র।
কয়লা পাচার মামলায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের আবেদনে বিস্ময় প্রকাশ করল দিল্লি হাই কোর্ট। ভবিষ্যতে ইডি যেন তলব না-করে এই মর্মে আর্জি জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী। শুক্রবার ওই আর্জিতে সাড়া দেয়নি উচ্চ আদালত। দিল্লি হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এটা অবাক করে যে, মামলাকারীকে গত দু'বছরে ১২ বার তলব করেছে ইডি। কেবলমাত্র এক বার তিনি হাজিরা দিয়েছেন! বিচারপতি স্বর্ণকান্ত শর্মা রায় জানিয়ে দেন, মলয়ের আবেদনে কোনও সাড়া দেওয়া হবে না। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে কোনও রক্ষাকবচও নয়।
এর আগে ওই মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে আদালতে আবেদন করেন মলয়। দিল্লির পরিবর্তে ইডির কলকাতায় অফিসে তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করারও আবেদন জানান তিনি। গত ৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি হাই কোর্ট জানায়, মলয়কে তাদের কলকাতার অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি। হাজিরার জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ২৪ ঘণ্টা আগে নোটিস পাঠাতে পারবে রাজ্যের আইনমন্ত্রীকে। শুক্রবারের রায়ে আগের ওই সব নির্দেশ বহাল রাখে আদালত। একই সঙ্গে জানায়, ইডি অফিসারদের কাজে কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। তাঁদের ক্ষতি হবে এমন কিছু না করা হয় তা-ও নিশ্চিত করতে হবে। ইডিকে আদালতের নির্দেশ, মলয়ের হাজিরার দিন পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনার, রাজ্যের মুখ্যসচিবকে নোটিস দিতে হবে। যেন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে কোনও সমস্যা তৈরি করা না হয়।
২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর কয়লা পাচার মামলায় প্রথম বার মলয়কে তলব করে ইডি। তখন তিনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সমনে সাড়া দেননি। এর পরে তাঁকে পর পর সমন পাঠায় ইডি। আদালতে মলয়ের অভিযোগ, ইডি হয়রানি করার জন্য একাধিক বার তলব করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কলকাতায় অফিস থাকা সত্ত্বেও তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে দিল্লির অফিসে সমন করেছে। মন্ত্রীর আশঙ্কা, ইডির দিল্লি অফিসে গেলে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করা হতে পারে। ইডি হুমকিও দিতে পারে। আদালতে মলয়ের আবেদন ছিল, কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেওয়া হোক। এবং ভবিষ্যতে সমন পাঠানো থেকে বিরত থাকুক ইডি। আদালত তাতে সাড়া দেয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy