বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিজস্ব চিত্র
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে একাধিক সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য সমবায় দফতর। সম্প্রতি তাঁকে ওই পদগুলি থেকে সরানোর দাবিতে সরব হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে তমলুকের সাংসদ নির্বাচত হওয়ার পরেই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান হন শুভেন্দু। সেই থেকেই তিনি এই পদে রয়েছেন।
গত বছর ১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুর কলেজিয়েট মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন তিনি। দলবদল করার আগেই রাজ্যের মন্ত্রিসভা ও বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন শুভেন্দু। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এখনও অবৈধভাবে একাধিক সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ আঁকড়ে রয়েছেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাঁকে সরাতে রাজ্য সরকারের কাছে দরবারও করেছে।
মৎস্যমন্ত্রী তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের নেতা অখিল গিরি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে হলে সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে তা করুন বিরোধী দলনেতা। ২০০৯ সাল থেকে টানা তিন বার কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। ২০১৭ সালে শেষবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হন তিনি। যা পুরোপুরি আইন বর্হিভূত।’’ প্রাক্তন সমবায়মন্ত্রী জ্যোর্তিময় করের দাবি, সমবায় আইনের ১১ নম্বর ধারা অনুযায়ী কেউ টানা ৩ বার চেয়ারম্যান থাকতে পারেন না। কিন্তু এক্ষেত্রে নিয়ম মানেননি নন্দীগ্রাম বিধায়ক।
একঝাঁক অভিযোগ পাওয়ার পরেই এবিষয়ে উদ্যোগী হয়েছেন সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায়। বর্তমানে শুভেন্দু কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক-সহ কাঁথি কার্ড সমবায় ব্যাঙ্ক ও বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। সমবায়মন্ত্রী বলেন, ‘‘ওঁকে সরানোর প্রক্রিয়া দফতর শুরু করেছে। বিজেপি-তে যোগদানের পরেই নিম্ন আদালতে একটি মামলা করেছিলেন তিনি। মামলা করে তিনি সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে থেকে যাওয়ার নির্দেশ পেয়ে যান। যাতে আমরা সরকারিভাবে তাঁকে সরাতে না পারি। কিন্তু এই সময়ে আমরা ওঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ পেয়েছি। সেই সব অভিযোগের তদন্ত করেও দেখা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy