কলকাতা হাই কোর্ট। ফাইল চিত্র।
নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করল কলকাতা হাই কোর্ট। রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনের দায়ের করেছিলেন ওই মামলা। পাশাপাশি, আদালত শিশু সুরক্ষা কমিশনকে নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে অবহিত করল।
বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শিশু সুরক্ষা কমিশনের নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে। তারা তা প্রয়োগ করতে পারত। কিন্তু তা না করে নির্বাচন নিয়ে সঠিক কোনও তথ্য ছাড়াই কমিশনের দিকে আঙুল তুলেছে। শিশু সুরক্ষা কমিশনকে আদালতের পরামর্শ, ওই কমিশনের চেয়ারপার্সন আইন, নিজের ক্ষমতা এবং কর্তব্য সম্পর্কে দায়বদ্ধ থাকবেন। সেই দায়িত্ব পালনের পরই নির্দিষ্ট সুপারিশের ভিত্তিতে আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আদালতের দরজা তাদের জন্য খোলাই থাকবে।
কোভিড পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিধানসভা ভোট আট দফায় করানোর ফলে অনেক শিশু প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশন। ওই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিশুরা যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তার কারণ খুঁজে বার করেনি শিশু সুরক্ষা কমিশন। এর জন্য তারা কোনও আলোচনা করেনি। এমনকি, ক্ষতির পরিমাণও তারা বলতে পারেনি। আদালত আরও জানায়, নির্বাচন কমিশনের গাফিলতির ফলে শিশুদের মৃত্যু হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখেনি শিশু সুরক্ষা কমিশন। সেই কারণে তাদের কাছে কোনও তথ্য, প্রমাণ নেই।
ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শিশুদের কল্যাণের জন্য তদন্ত বা অনুসন্ধানের ক্ষমতা শিশু সুরক্ষা কমিশনের ছিল। আইন তাদের সেই ক্ষমতা দিয়েছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেই প্রতিফলন দেখা যায়নি। আদালতের বক্তব্য, শিশুরা দেশের সম্পদ। তাদের অধিকার বুঝে নিতে বিন্দুমাত্র দেরি না করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু শিশু সুরক্ষা কমিশন তাতে ব্যর্থ হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy