মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
নারদ মামলায় হলফনামা-পর্ব শেষ হল কলকাতা হাই কোর্টে। বৃহস্পতিবার দু'পক্ষের তরফেই হলফনামা জমা দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সিবিআইয়েরও হলফনামা জমা হয় আদালতে। তবে বৃহস্পতিবার হলফনামা নিয়ে কোনও সওয়াল হয়নি। অন্য দিকে, আদালতের নির্দেশ মতো বৃহস্পতিবার ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা জমা দেন মুখ্যমন্ত্রী-সহ অন্য দুই বিবাদী পক্ষ।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে সওয়াল করেন সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আদালতে জানান, ১৯ মে-র পর সিবিআইও দেরি করে হলফনামা জমা দিয়েছিল। ফলে তাদেরও জরিমানা করা প্রয়োজন রয়েছে। তবে বেঞ্চের বিচারপতিরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কল্যাণ ফের বলেন, কমপক্ষে ১ টাকা হলেও জরিমানা করা হোক সিবিআইয়ের। তারপরও ওই আর্জিতে কোনও সুরাহা হয়নি। বৃহস্পতিবার শুধুমাত্র দু'পক্ষের হলফনামা জমা নেয় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগস্টের প্রথম সপ্তাহে করার প্রস্তাব দেয় বৃহত্তর বেঞ্চ। কল্যাণ আর্জি করেন, ১৭ জুলাই করুন। ওই দিনটা আমার জন্য শুভ। না হলে সংসদে বাদল অধিবেশনের পর করা হোক। সেই মতো এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৬ আগস্ট ধার্য হয়।
১৭ মে নারদ স্টিং-কাণ্ডে রাজ্যের চার নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার প্রতিবাদে ওই দিন নিজাম প্যালেসে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ধৃতদের জামিনের শুনানির সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন আইনমন্ত্রী। সেই কারণে মামলাটিতে 'প্রভাবশালী তত্ত্ব' খাটিয়ে অন্য রাজ্যে স্থানান্তরের জন্য আদালতে সওয়াল করে সিবিআই। শুনানি চলাকালীন এই মামলায় হলফনামা দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী ও রাজ্য সরকার। কিন্তু হাই কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। পরে এই দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে যান বিবাদী পক্ষরা। সর্বোচ্চ আদালত হাই কোর্টকে হলফনামা জমা নিতে অনুরোধ করে। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বৃহস্পতিবার হলফনামা জমা নেয় হাই কোর্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy