গত মাসে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের সামশুর গ্রামের। টিউশন পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় মাধ্যমিকের এক পরীক্ষার্থী। ২১ ফেব্রুয়ারি পটাশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার।
নাবালিকা মেয়ে অপহরণ মামলায় পুলিশকে কড়া নির্দেশ আদালতের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
১৫ দিন কেটে গিয়েছে! এখনও ঘরে ফেরেনি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী মেয়ে। নিখোঁজ মেয়েকে ঘরে ফেরাতে সক্রিয় ভূমিকা নেয়নি পুলিশ। এমন অভিযোগ তুলে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বাবা। তাঁর অভিযোগ, অপহরণের ঘটনায় চার জনের বিরুদ্ধে এফআইআর হলেও, যথাযথ পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশের কড়া সমালোচনা করল হাই কোর্ট। উচ্চ আদালত অভিযুক্তদের সাত দিনের মধ্যে কোর্টে হাজির করানোর নির্দেশ দিল পুলিশকে। হাই কোর্টের ক্ষেত্রে সচরাচর যা লক্ষ করা যায় না বলেই মত আইনজীবীদের একাংশের।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, ‘‘শুনে অবাক হচ্ছি! ১৫ দিন কেটে গিয়েছে এখনও পুলিশ অন্ধকারে রয়েছে! এত দিনেও কেন অভিযুক্তদের কিনারা করা গেল না।’’ আদলতের নির্দেশ, ওই অপহরণের ঘটনায় এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশকে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। ধরে আনতে সব অভিযুক্তদের। কাউকেই রেয়াত করা যাবে না। আদালতের এমন নির্দেশে অবাক অনেক আইনজীবীই। তাঁদের কথায়, আসামী বা অভিযুক্তদের সাধারণত নিম্ন আদালতে হাজির করানো হয়। হাই কোর্টে আনা হয় না। এ বার এই ঘটনায় আদালতের নির্দেশ মতো তাঁদের আনা হবে।
গত মাসে ঘটনাটি ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের সামশুর গ্রামের। টিউশন পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় মাধ্যমিকের এক পরীক্ষার্থী। ২১ ফেব্রুয়ারি পটাশপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। বাবার দাবি, তাঁদের ১৭ বছরের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় সন্দেহ করা হয় পাশের গ্রামের কয়েক জন যুবককে। পুলিশ ওই ঘটনায় এফআইআর রুজু করেছে। ঘটনার দু’সপ্তাহ পরে মেয়ে ফিরে না আসায় উচ্চ আদালতে মামলা করেন বাবা। তাঁর দাবি, মামলা রুজু করেই ক্ষান্ত থেকে পুলিশ। সব জানানোর পরও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
যদিও রাজ্যের কৌঁসুলি নাবালিকার পরিবারের দাবি অস্বীকার করেন। তিনি আদালতকে জানান, সঠিক পথেই তদন্ত করছে পুলিশ। অভিযুক্তরা এখন পলাতক। তাঁদের অনেক নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সন্ধান পেতে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে তাঁদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং তা চলছে। মামলাকারীর আইনজীবী অয়ন পোদ্দার পাল্টা বলেন, ‘‘পুলিশ মিথ্যা কথা বলছে। অভিযুক্তরা গ্রামেই রয়েছেন। সব জেনেও পুলিশ হাত গুটিয়ে রয়েছে।’’ আগামী ১৭ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy