নির্বাচনী এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে ভোটগ্রহণ খতিয়ে দেখতে নেমে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। ছবি: পিটিআই
ভোর থেকে দলের প্রার্থী হাজির এলাকায়। অলিগলি থেকে রাজপথ কেন্দ্রের সর্বত্র চষে বেড়ালেন। বুথ চোখে পড়লেই গাড়ি থেকে নেমে কোথায় কেমন ভোট হচ্ছে তা ঢুঁ মেরে দেখলেন। আবার অন্যায় কিছু মনে করলে বিপক্ষকে নিশানাও করলেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার ভোটগ্রহণের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দিনভর তিনি রইলেন খবরে। অথচ দেখা নেই দলীয় কর্মীদের। এই অবস্থায় যেন নিঃশব্দেই ভোট হয়ে গেল ভবানীপুরে! অন্তত সারাদিনের ছবি সেই কথাই বলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে ভবানীপুর-সহ রাজ্যের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোর সাড়ে ৫টা নাগাদ নির্বাচনী এজেন্টকে সঙ্গে নিয়ে ভোটগ্রহণ খতিয়ে দেখতে নেমে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। শুরুর দিকে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া সংলগ্ন বুথগুলিতে কেমন ভোট হচ্ছে তার খোঁজ নেন। তার পর একে একে ওই কেন্দ্রের বিভিন্ন বুথে দেখা যায় তাঁকে। বিজেপি প্রার্থীর মুখে একাধিক অভিযোগ শোনা যায়। ১৫৯ নম্বর বুথে তাদের এজেন্টকে হুমকি এবং বার করে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন তিনি। রমেশ মিত্র স্কুল এবং ভবানীপুর এডুকেশন সোসাইটি স্কুলে রিগিংয়ের অভিযোগ করেন প্রিয়ঙ্কা। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়, মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং মদন মিত্রের দিকে। বিজেপি-র তরফে বলা হয়, ভবানীপুরে ১০৩, ১০৪ এবং ১০৫ নম্বর বুথে লাইনে অনেক ভুয়ো ভোটার রয়েছে। যদিও বিজেপি প্রার্থী দৃঢ় ভাবে তা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হন। খালসা হাইস্কুলে এক যুবক ভুয়ো ভোট দিতে এসেছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। যা নিয়ে কিছুটা গোলমাল শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গণ্ডগোল পাকানোর দায়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটাররা দায়ী করেন প্রিয়ঙ্কাকেই। তাঁর ওই দাবিটিও কমিশনের কাছে লঘু হয়ে যায়।
অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারাদিন বাড়িতেই ছিলেন। পূর্ব ঘোষণা মতো নির্দিষ্ট সময়ে তিনি শুধু ভোট দিতে আসেন। আবার বাড়ি ফিরে যান। এ ছাড়া তাঁকে আর কোথায় দেখা যায়নি। তবে ভোটের কাজে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তৎপরতা বেশি দেখা গিয়েছে। বিজেপি-র ক্ষেত্রে যা চোখে পড়েনি। খুব কম জায়গায় তাদের শিবির (ক্যাম্প) করতে দেখা গিয়েছে। অনেক বুথে বিজেপি-র এজেন্টও বসেননি। যদিও এর পিছনে তৃণমূলকে তারা দায়ী করছে তারা। উল্টো দিকে, প্রতি বুথে তো এজেন্ট ছিলই, তার উপর বুথভিত্তিক প্রায় প্রতি এলাকায় শিবির করতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলকে। ভবানীপুরের এলাকা ঘুরে মনে হবে যেন ভোটের দিনে হারিয়ে গিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা! সব মিলিয়ে শান্তিতেই মিটল ভবানীপুরের ভোটগ্রহণ। নির্বাচন কমিশনের কথাতেও তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলেছে। রাজ্য মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার ভবানীপুরের ভোটে খুব বেশি অভিযোগ জমা পড়েনি। আবার যেগুলি জমা পড়েছে তার অনেকগুলিরই কোনও সারবত্তা নেই। খুবই শান্তিপূর্ণ ভাবে হয়েছে ভোটগ্রহণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy