২০২২ সালের টেটে আবেদনের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবারই। যোগ্যতার সংক্রান্ত জটিলতা দূর করতে দ্রুত ব্যবস্থা নিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
টেট ২০২২-এর আবেদনের শেষ দিনেও তৈরি হল জটিলতা। যার সমাধানে আবার হস্তক্ষেপ করতে হল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
টেট সংক্রান্ত নানা জটিলতার মধ্যেই ২০২২ সালের টেটের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। দেখা গেল সেই পরীক্ষার জন্য কারা আবেদন করতে পারবেন, আর কারা পারবেন না তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকাই দেওয়া হয়নি। ইচ্ছুক টেট পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এ নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে। যাঁরা তাঁদের আবেদন গ্রহণ করছেন, তাঁদেরও সুস্পষ্ট ধারণা নেই। যার জেরে এক আবেদনকারীর আবেদন খারিজ হওয়া নিয়ে ফের মামলায় হল কলকাতা হাই কোর্টে। তবে সেই আবেদন শুনানির জন্য উঠল একেবারে টেট ২০২২-এর আবেদনের শেষ দিনে।
টেট ২০২২ সালের আবেদনকারী স্মৃতিকণা খামারুর পরীক্ষায় বসার আবেদন খারিজ হওয়াতেই জটিলতার শুরু। স্মৃতিকণার আইনজীবীর দাবি, তিনি যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালের টেটের যোগ্যতার নতুন নিয়ম অনুযায়ী ব্যাচেলর অফ এডুকেশনে ৫০ শতাংশ নম্বর পেলে টেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন প্রার্থীরা। কিন্তু আবেদনকারী ওই নিয়ম জারি হওয়ার আগেই স্নাতক হয়েছিলেন। ফলে আইনজীবীর দাবি, তার ক্ষেত্রে ওই নিয়ম আরোপ করা যায় না। অথচ নতুন নিয়ম দেখিয়ে খারিজ করা হয়েছে স্মৃতিকণার আবেদন। যা বেআইনি ভাবে করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আইনজীবী। উল্লেখ্য, স্মৃতিকণার মতোই এমন আরও অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছেন যাঁরা এডুকেশন নিয়ে স্নাতক হয়েছেন ওই বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার আগে। এই সংক্রান্ত মামলাটির শুনানির উপর তাঁদের ভাগ্যও নির্ভর করছে।
হাতে সময় কম, তাই সমাধানের জন্য বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিভ্রান্ত টেট প্রার্থীরা। সুরাহা করতে উদ্যোগী হয়েছে হাই কোর্টও। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জরুরি ভিত্তিতে তলব করেছেন কেন্দ্রীয় সংস্থা এনসিটিই-র প্রতিনিধিকে। এই এনসিটিই-ই টেট পরীক্ষার্থীদের যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে। আবেদনকারীর বক্তব্য শোনার এক ঘণ্টার মধ্যেই বিচারপতি আদালতে হাজিরা দিতে বলেন করতে বলেন এনসিটিই-র মেম্বার সেক্রেটারিকে। তাঁর পক্ষে সশরীরে সময়ে আদালতে উপস্থিত হওয়া সম্ভব নয় জেনে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হাজিরা দিতে বলেন বিচারপতি। ২০২২ সালের টেটের জন্য এক বিশেষ শ্রেণির প্রার্থী আবেদন করবেন কি না তা জানা যাবে এই শুনানির পরেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy