প্রশান্ত কিশোর। ফাইল চিত্র
তৃণমূলের দলত্যাগী আর নিষ্ক্রিয় কর্মীদের ফিরিয়ে আনতে এ বার সরাসরি মাঠে নামল ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের টিম। জেলা তো বটেই আরও নিচুতলার এই অংশের সঙ্গে যোগসূত্র প্রতিষ্ঠার কাজ করছেন টিমের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারীরা। এই কাজ সেরে ফের ‘দিদিকে বলো’র মতো জনসংযোগ কর্মসূচির পরিকল্পনা করেছে টিম পিকে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ক্ষমতায় আসার পরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা নিয়ে বিরোধের কারণে বহু জায়গায় দলের একাংশে নিষ্ক্রিয়তা দেখা গিয়েছে। আগামী বিধানসভা ভোটের আগে এই অংশকে সঙ্গে রাখতে নানা স্তরে চেষ্টা করেছে তৃণমূল। দলের একাধিক বৈঠকে সব পক্ষকে নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। কিন্তু দলের ক্ষমতাসীন অংশ সে ব্যাপারে খুব বেশি আগ্রহ না-দেখানোয় এ বারে আসরে নেমেছে টিম পিকে।
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কারণে শুধু বসে যাওয়া নয়, গত কয়েক বছরে বহু কর্মী দলও ছেড়েছেন। তাঁদের অনেকে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। গত লোকসভা ভোটে বিজেপি রাজ্যে নজরকাড়া সাফল্য পাওয়ার পরে সেই প্রবণতা আরও বেড়েছে। এই দলত্যাগীদেরও ফেরাতে সচেষ্ট টিম পিকে। কোথায়, কোন সমস্যার জন্য তাঁরা দল ছেড়েছেন, তা জানতে সরাসরি কথা বলছেন পিকে’র সংস্থা আইপ্যাকের সদস্যেরা। এ নিয়ে জোরদার প্রচারের পরিকল্পনাও করেছে টিম পিকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, ‘‘সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধিতে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের সক্রিয় করা এবং দলত্যাগীদের ফেরানো— এই দু’টি কাজই প্রয়োজনীয়। কোথাও দলের নেতারা তা না-পারলে সংস্থার লোকেরা তা করছেন।’’
তৃণমূলের রাজ্য ও জেলা সংগঠনে সম্প্রতি একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। তার পর থেকে নিচুতলাতেও নতুন কমিটি গঠন, শূন্যপদ পূরণের কাজ চলছে। সংগঠন মেরামতির এই কাজের পাশাপাশি ভোটের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে ফের এক বার সব দরজায় যাবে তৃণমূল। জনসংযোগের এই কর্মসূচিতে অবশ্য সরকারি কাজের খতিয়ান নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা করেছে আইপ্যাক। মাসখানেকের মধ্যে এই কর্মসূচি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ কাজে একেবারে বুথ স্তর পর্যন্ত সাংগঠনিক কাঠামো ব্যবহার করতে চায় তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy