চাকরি-প্রার্থীদের ধর্না মঞ্চে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও অন্য নেতারা। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনে ফের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে হাজির হলেন বিরোধী নেতারা। রাজ্যের শিক্ষিত বেকারদের নাম নথিভুক্ত করতে পোর্টাল চালু করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়ার মন্দিরতলায় গ্রুপ-ডি চাকরি-প্রার্থীদের ধর্না-মঞ্চে মঙ্গলবার উপস্থিত হয়ে শুভেন্দু ফের নবান্ন অভিযানের সলতে পাকানোর ইঙ্গিতই দিয়েছেন। অন্য দিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি শুভঙ্কর সরকারও আলাদা সময়ে ওই মঞ্চে গিয়ে ‘নবান্নে জমিদারেরা বসে আছেন’ বলে কটাক্ষ করেছেন। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য বিরোধীদের বক্তব্যে আমল দেয়নি।
সূত্রের খবর, রাজ্যের চাকরি-প্রার্থীদের জন্য শুভেন্দু যে পোর্টাল চালু করতে চলেছেন, কিছু দিনের মধ্যেই তার খুঁটিনাটি প্রকাশ্যে আসবে। সেখানে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষিত, সব ধরনের চাকরি-প্রার্থীদের নাম নথিভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হবে। পরের ধাপে চাকরি-প্রার্থীদের নিয়ে নবান্ন অভিযানের পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে দলীয় পতাকা ছাড়াই নেতৃত্ব দেওয়ার কথা শুভেন্দুর। এই পরিকল্পনা রূপায়ণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিজেপির আইনজীবী-নেতা কৌস্তভ বাগচীকে।
চাকরি-প্রার্থীদের অবস্থানে গিয়ে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী থাকার সময়ের ‘অভিজ্ঞতা’ তুলে ধরে শুভেন্দু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নিয়োগের প্রশ্নে ‘ভোট-রাজনীতি’ করার অভিযোগ করেছেন। ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দুর আরও বক্তব্য, “যতক্ষণ না ওবিসি-জট কাটছে, ততক্ষণ রাজ্যে একটাও নিয়োগ হবে না। উনি (মমতা) ভোটের জন্য সবাইকে ওবিসি করে দিয়েছেন। কিন্তু ওবিসি কমিশনের অনুমোদন নেননি।” রাজ্যে ৬ লক্ষ স্থায়ী পদ অবলুপ্ত করার অভিযোগ করে এবং অস্থায়ী নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকেও বিঁধেছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, “কারও নিয়োগপত্র নেই, ছ’মাস অন্তর পুনর্নবীকরণ হয়। কারণ, এঁদের (অস্থায়ী কর্মীদের) দিয়ে ভোট করাতে হয়। এঁদের স্থায়ী করলে, কেউ (তৃণমূলের) মিটিং-মিছিলে হাঁটবেন না, ভোট লুটেও যোগ দেবেন না।”
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, “যাঁদের কাজ থাকে না, তাঁরা সকাল হলেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে গঙ্গার ধারে, জাদুঘরে, ময়দানে ঘুরে বেড়ান! ওঁর (শুভেন্দু) তেমনই অবস্থা। কাজ নেই। কোথাও না কোথাও গিয়ে সময় কাটাতে হবে। তাই ওখানে গিয়ে এ সব বলেছেন।”
গ্রুপ ডি চাকরি-প্রার্থীদের মঞ্চে এ দিন গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর এবং দলের নেতৃত্বের তরফে কৃষ্ণা দেবনাথ, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়, সুমন রায় চৌধুরীরাও। সদ্যপ্রয়াত মনোজ মিত্রের সৃষ্টির সূত্র ধরে রাজ্য প্রশাসনকে শুভঙ্করের তোপ, ‘‘বাঞ্ছারামের বাগানে’র জমিদারদের কথা খেয়াল করুন। আজকের জমিদারেরা বসে আছেন নবান্নে। মানুষই এক দিন এঁদের তাড়াবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy