কর্তব্যে গাফিলতির জন্যই কি বার বার শুভেন্দু অধিকারীর কনভয় আক্রান্ত হচ্ছে! গত দু’মাসে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কনভয় তিন বার আক্রান্ত হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়েছিল। ঘটনাগুলি কোনও যোগসূত্রে বাঁধা কি না, তা জানতে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটিতে বলা হয়েছে, এই ঘটনার তদন্তভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দেওয়া হোক।
কলকাতা হাই কোর্টে ওই জনস্বার্থ মামলাটি করেছেন আইনজীবী অরুন্ধতী তিওয়ারি এবং রবিরঞ্জন কুমার। তাঁদের দাবি, গত জুলাই আর আগস্ট এই দু’মাসে তিন বার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর কনভয় আক্রান্ত হয়েছে। অথচ শুভেন্দু রাজ্যের বিধানসভার বিরোধী দলনেতা, জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। মামলাকারীদের প্রশ্ন, বার বার একই ধরনের ঘটনা প্রশাসনের গাফিলতির কারণে হচ্ছে না তো? শুভেন্দুর নিরাপত্তার দায়িত্ব কেন্দ্রের হলেও যেহেতু তিনি জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান, তাই কোথাও গেলে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবকে সেই তথ্য জানাতে হয়। স্থানীয় থানাকেও অবগত করা হয় এ ব্যাপারে। মামলাকারীরা প্রশ্ন তুলেছেন তার পরও কী ভাবে একের পর দুর্ঘটনা? তবে কি কর্তব্যে বিচ্যুতি থাকছে? বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সিবিআই তদন্ত চেয়েছেন মামলাকারীরা।
আরও পড়ুন:
-
আগামী সপ্তাহেই রাজ্যে বাংলাদেশের ইলিশ আসার সম্ভাবনা, কত দাম হতে পারে পদ্মার রুপোলি শস্যের?
-
এক দিকে ‘সাপ-নেউল’, অন্য দিকে থিম ‘ঐক্য’, বিজেপির শিবিরে তিন দিনে কে কোন খেলা খেললেন?
-
রেড রোডে পুজোর উৎসবে দিদির পাশে দাদা, ইউনেসকো সদস্যদের বললেন, ‘শহরের আতিথেয়তা উপভোগ করুন’
-
চার ব্যাগ ঠাসা মেধাতালিকা এসেছিল আদালতে, দেখেই পর্ষদে ফেরত পাঠালেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
উল্লেখ্য, শুভেন্দুর কনভয়ে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে গত ১ জুলাই। দুপুরে কাঁথি থেকে নন্দকুমারের দিকে যাচ্ছিল শুভেন্দুর কনভয়। মারিশদার কাছে একটি পেট্রল পাম্পের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি দিঘা-কল্যাণী রুটের বাস পেট্রল পাম্পে ঢুকছিল। সেই বাসটিই চেপে দেয় কনভয়ে থাকা সিআরপিএফের গাড়িকে। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই গাড়ি একটি ট্রাকে ধাক্কা দিতেই দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এর পর ১২ জুলাই কলকাতার ইএম বাইপাসে কালিকাপুরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শুভেন্দুর কনভয়ের একটি গাড়ি। ২২ অগস্ট আবার ঘটে দুর্ঘটনা। আবারও মারিশদাতেই আক্রান্ত হয় শুভেন্দুর কনভয়। মারিশদা থানা এলাকায় শুভেন্দুর কনভয়ে থাকা শেষ গাড়ি অর্থাৎ বুলেট প্রুফ গাড়িটিতে ধাক্কা দেয় উলটো দিক থেকে আসা একটি লরি। মামলাকারীরা বলেছে, নিরাপত্তা সত্ত্বেও যদি বার বার বিরোধীনেতার কনভয়ে হামলা হতে থাকে তবে বুঝতে হবে গাফিলতি রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বিষয়টি তদন্ত করে দেখুক।
আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।