গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য এক কঠিন সঙ্কটের মুখে দাঁড়িয়ে। ২০২১-এ বিধানসভা নির্বাচন। তাই রাজ্যবাসীকেই ঠিক করতে হবে তাঁরা কোন পথ বেছে নেবেন। রাজ্যবাসী এবং তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে খোলা চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী।
জীবনের এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চললেও পুরনো অধ্যায়কে ভুলে যাওয়ার মতো নয় বলেও চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি। শুভেন্দুর কথায়, “রাজ্যবাসী যে ভাবে বিশ্বাস করে সেবার সুযোগ দিয়েছেন সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ।” ব্যক্তিস্বার্থকে কখনওই প্রাধান্য দেননি। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে রাজ্যবাসীর স্বার্থেই নিজেকে নিয়োজিত করেছেন বলেও জানিয়েছেন শুভেন্দু।
তাঁক কথায়, “আমি খুব সৌভাগ্যবান যে মানুষ আমাকে ভালবেসে বার বারই তাঁদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন। তাঁদের ভালবাসাতেই আমি সাফল্যের শিখরে পৌঁছতে পেরেছি। এক জন মন্ত্রী হিসেবে তাঁদের জন্য কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন রাজ্যবাসী।” রাজনৈতিক জীবনে যা কিছু সিদ্ধান্ত সব কিছুই রাজ্যবাসীর জন্য। শুধু তাই নয়, সব সময়েই একটা উন্নত সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা করে গিয়েছেন বলেও কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে জানিয়েছেন শুভেন্দু।
চিঠিতে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের প্রসঙ্গও তুলে ধরেছেন শুভেন্দু। পশ্চিমবঙ্গকে সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে বামফ্রন্টের বিরুদ্ধে সকলে মিলে লড়াইয়ে নেমেছিল। একটা ভাল সরকারের স্বপ্ন দেখেছিল রাজ্যবাসী। যে সরকার তাঁদের স্বার্থের কথা ভাববে। তার মাঝে দশ বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু রাজ্যের ভাইবোনেরা যে সমস্যায় ছিলেন, সেই সমস্যাতেই পড়ে রয়েছেন। কোনও কোনও ক্ষেত্রে সেটা আরও খারাপ হয়েছে বলে মন্তব্য শুভেন্দুর।
তাঁর কথায়, “সরকারের স্থবিরতা বড় সমস্যা। পরিকাঠামো উন্নয়নের মধ্য দিয়েই এই সমস্যাটাকে দূর করা যেত। কিন্তু এই সরকারে তা হয়নি। এটা খুবই দুঃখজনক। আর সে কারণেই আমরা ব্যর্থ হচ্ছি। তৃণমূলের মধ্যে পচন ধরতে শুরু করেছে। যে তৃণমূলের জন্য আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি।”
দু’দশক ধরে এই দলকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন কর্মী-সমর্থকরা। সোনার বাংলা তৈরি করতে দলের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মা-মাটি-মানুষের কাজ করে গিয়েছেন বলে মন্তব্য শুভেন্দুর। তাঁর কথায়, “যে সব মানুষগুলো এই দলকে তৈরি করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন আজ তাঁরাই ব্রাত্য, অপমানিত।”
তিনি আরও বলেন, “রক্ত, ঘাম ঝরিয়ে যে দলকে আমরা গড়ে তুলেছি, সেই দলই এখন আমাদের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে। জনগণ দ্বারা নির্বাচিত দলই আজ সেই জনগণের রায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এখন দেখা যাচ্ছে রাজ্য এবং দেশের উন্নয়নের বিষয়টিতে নজর না দিয়ে ব্যক্তি ও পরিবারতন্ত্রই একমাত্র মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy