শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র
ক্ষমতা দখলের পরে এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জনসভায় যোগ দিতে কালিয়াগঞ্জে যাচ্ছেন। তৃণমূলের অন্দরমহলের খবর, ওই জনসভায় কোনও ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের’ আঁচ বরদাস্ত করা হবে না বলে উত্তর দিনাজপুর জেলা নেতৃত্বকে স্পষ্ট জানিয়েছেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দলের জেলা নেতৃত্বকে কালিয়াগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার মাঠ ভরানোরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
দলীয় সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর কালিয়াগঞ্জ সফর নির্বিঘ্নে শেষ করতে সোমবার রাতে কলকাতায় তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শুভেন্দু। বৈঠকে ছিলেন জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, গোয়ালপোখরের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, ইটাহারের তৃণমূল বিধায়ক অমল আচার্য, রায়গঞ্জ ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভার তৃণমূলের পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস ও কার্তিক পাল এবং হেমতাবাদ ব্লক তৃণমূল সভাপতি প্রফুল্ল বর্মণ।
প্রফুল্লের কথায়, ‘‘কালিয়াগঞ্জ, রায়গঞ্জ-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকার দলীয় নেতা ও কর্মীদের মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি জনসভার মাঠে হাজির থাকার আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরে যাতে দলের কোনও নেতা ও কর্মী মুখ্যমন্ত্রীর ওই জনসভার খবর না পাওয়ার কথা বলে ক্ষোভপ্রকাশ না করেন, সে জন্যই ওই নির্দেশ।’’ তবে রায়গঞ্জের পুরপ্রধান সন্দীপের দাবি, ‘‘সবাই যাতে নির্বিঘ্নে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার মাঠে পৌঁছতে পারেন, আমাদের সে দিকে নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মার্চ মাসের প্রথম দিকে কালিয়াগঞ্জ শহরের কলেজ মাঠে জেলা স্তরের প্রশাসনিক বৈঠক ও সরকারি জনসভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র এক সময় কংগ্রেসের প্রাক্তন দুই সাংসদ তথা দুই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি ও দীপা দাশমুন্সির ‘খাসতালুক’ বলে পরিচিত ছিল। প্রিয় ও দীপার বাড়িও কালিয়াগঞ্জ শহরে। প্রায় আড়াই বছর আগে প্রিয়রঞ্জন প্রয়াত হন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত দীপা রায়গঞ্জের সাংসদ থাকাকালীন সেখানে এমস-এর ধাঁচে হাসপাতাল তৈরি না হওয়ায় দীপার সঙ্গে মমতার বিরোধ একাধিক বার প্রকাশ্যে এসেছে। ২০১৬ সালে কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পুরসভার বেশিরভাগ কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে ওই পুরসভার ক্ষমতা তৃণমূলের দখলে যায়। লোকসভা ভোটে পিছিয়ে থেকেও গত বছরের নভেম্বর মাসে কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয় তৃণমূল।
তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের বক্তব্য, ‘‘কালিয়াগঞ্জ কংগ্রেসের ঘাঁটি বলে যে কথা প্রচারিত ছিল, উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষ তা মিথ্যা প্রমাণিত করেছেন। আশা করছি, মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার মাঠে জনস্রোতও ফের তা প্রমাণ করবে।’’
জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র চন্দের পাল্টা দাবি, ‘‘কালিয়াগঞ্জের সাধারণ মানুষ সব সময় কংগ্রেসের পাশেই রয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy