সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজ্যপাল। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করে রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়ে এলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর আগে রাজ্যপাল বোসের ভূমিকা সম্পর্কে ‘অনাস্থা’ প্রকাশ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। সুকান্ত অবশ্য বুধবার রাজভবন থেকে বেরিয়ে বলেছেন, ‘‘রাজ্যপাল বোস দীর্ঘ দিন প্রশাসনিক পদে আসীন ছিলেন। তিনি জানেন, রাজ্যে কী ঘটছে। কোচবিহারে আলু ক্ষেতে বোমা-চাষ থেকে শুরু করে গণধর্ষণের ঘটনা, নানা বিষয়েই কথা হয়েছে। রাজ্যপালও নজর রাখছেন।’’ প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতার মধ্যে যে রাজ্যপালকে কাজ করতে হয়, তা-ও উল্লেখ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। শুভেন্দু অবশ্য তখন তাঁর পাশে ছিলেন না। রাজভবন থেকে বেরিয়ে তিনি না দাঁড়িয়ে সোজা চলে যান হুগলি জেলায় বিজেপির কর্মসূচিতে যোগ দিতে।
সুকান্ত এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরে দাবি করেছেন, ‘‘আবাস যোজনা থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, তা জানিয়েছি। সেই সঙ্গে এ-ও বলেছি, এলাকার বিডিওরা নিপীড়িত, বঞ্চিত মানুষের আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। তাঁদেরকে ঘেরাও করা হচ্ছে। এই সব কিছুই তাঁর সামনে তুলে ধরেছি।” পরে হুগলির ধনেখালি ও চণ্ডীতলায় বিজেপির জোড়া সভা থেকে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূলকে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুও। দুর্নীতির দায়ে মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গোটা মন্ত্রিসভার জেলে যাওয়া উচিত বলে ফের দাবি করেছেন। সেই সঙ্গেই চণ্ডীতলার সভায় তাঁর মন্তব্য, ‘‘দিল্লির তিহাড় জেলের দরজাটা একটুখানি ফাঁক করা হয়েছে। এর পরে বড় ডাকাত যাবে! তার সহধর্মিণী যাবে। তার শ্যালিকা দিদিমণি যাবে। ‘লিপ্স অ্যান্ড বাউন্ড্স’-এর ডাইরেক্টরেরা যাবে।’’ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেছেন, ‘‘ডিসেম্বর নিয়ে তো এত বড় বড় কথা বলেছিলেন! নির্লজ্জ রাজনীতি! সিবিআইয়ের এফআইআরে নাম থাকা চোর, ব্ল্যাকমেলার এক জনের মুখে এ সব কথা মানায় না!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy