অভিযোগ শুনছেন শুভেন্দু।
‘অধিকারী গড়ে’ লোকসভা ভোটের সময় থেকেই যে খেজুরি বারবার তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে, যেখানে ভোটে শাসকদলকে টক্কর দিয়েছে গেরুয়া শিবির, সেখানেই দু’টি ব্লকে বৃহস্পতিবার জনসংযোগ বৈঠক করলেন পরিবহণ মন্ত্রী। তৃণমূলের দলীয় সূত্রের খবর, বৈঠকে বন্ধ খামে লেখা এলাকাবাসীর অভিযোগপত্র পড়েন শুভেন্দু। প্রয়োজন মতো জন প্রতিনিধিদের ‘ধমক’ও দেন। দলের যে সব পুরনো কর্মী দূরে সরে গিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করে দলের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজের দলের কর্মীদের বিজেপি’র কর্মসূচিতে বাধা না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু।
এ নিয়ে বিঁধতে ছাড়ছে না বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি (তমলুক) নবারুণ নায়েক বলেন, ‘‘খেজুরির স্থানীয় বাসিন্দারা তৃণমূলে পাশে নেই। তাই ওরা এখন বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে।’’ যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, ‘‘শুভেন্দু কী বলেছেন, তা তাঁর কাছ থেকেই জেনে নিন।’’
এ দিন সকালেই খেজুরি-১ এবং ২ ব্লক অফিসে হাজির হন শুভেন্দু। তাঁর আলোচনার সিংহভাগ জুড়ে ছিল খেজুরির মাটিতে বিজেপি-তৃণমূল সাম্প্রতিক সংঘাত।
পরিবহণমন্ত্রী এ দিন প্রথমে পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে দু’টি ব্লকের সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মুখবন্ধ খামে তাঁদের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। পরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জন প্রতিনিধি, স্থানীয় বিধায়ক রণজিৎ মণ্ডল এবং দলের অঞ্চল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দলীয় সূত্রের খবর, খেজুরি-২ ব্লকে ১৫০ জন বাসিন্দা নিজেদের অভিযোগ জানান। নিজ কসবা এলাকার এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাঁর এলাকার খারাপ নলকূপ নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। প্রধানকে জানিয়েও তার সুরাহা হয়নি। ওই বাসিন্দার বক্তব্য, এ দিন বিষয়টি জানার পরে জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কর্মাধক্ষ্যকে বিষয়টি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন পরিবহণ মন্ত্রী।
ওই ব্লকের হলুদবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তাপস প্রামাণিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যকে না জানিয়েই সিদ্ধান্ত নিতেন। এ দিন তাপসকে এ ব্যাপারে শুভেন্দু ভর্ৎসনা করেন বলে খবর।
দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ খেজুরি-২ ব্লক থেকে পরিবহণমন্ত্রী রওনা দেন খেজুরি-১ ব্লকে। ১টা নাগাদ তিনি খেজুরি-১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতিতে পৌঁছন। সেখানে তাঁকে ৬০ জন বাসিন্দা বন্ধ খামে অভিযোগ জানান।
তৃণমূল সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বীর বন্দরের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি শেখ নওশদকে ধমক দেন শুভেন্দু। নওশদ অঞ্চল আহ্বায়ক তনুজ বেরাকে সহযোগিতা করছেন না বলে অভিযোগ। ভর্ৎসনা করা হয়েছে খেজুরির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রেহানা খাতুনকেও। রেহানা অবশ্য বলেন, ‘‘দলের সাংগঠনিক বিষয়ে সকলকে নিয়েই আলোচনা হয়েছে। তাই আলোচনার বিষয়বস্তু সংবাদমাধ্যমের কাছে বলব না।’’
বৈঠকে ঠিক হয়েছে, খেজুরি-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি লুৎফর রহমান এবং খেজুরি-১ ব্লক সভাপতি সত্যরঞ্জন বেরাকে জেলা স্তরের নেতা করা হবে। তাঁদের পদে নতুনদের দায়িত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি, দু’টি ব্লকের ১০টি অঞ্চল কমিটি ঢেলে সাজানো হবে। আগামী ৯ অগস্ট বীরবন্দরে সত্যাগ্রহ কর্মসূচি পালন করবেন শুভেন্দু। তারপর সাংগঠনিক রদবদল প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy