শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
গ্রাম স্তরের উদ্যোক্তা সম্মেলনে গিয়ে প্রশাসন পরিচালনা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভূমিকার তুলনা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, বাংলার সরকার রাজধর্ম পালন করে না। তৃণমূল পাল্টা বলেছে, গুজরাত দাঙ্গার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রথম রাজধর্ম পালন করার কথা নরেন্দ্র মোদীকে মনে করিয়েছিলেন।
পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্রে শনিবার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রকল্পের অর্থ সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রকল্পগুলো থেকে বেরিয়ে এসেছেন। কেন্দ্রের ফসল বিমা যোজনা থেকে বেরিয়ে রাজ্য বাংলার ফসল বিমা যোজনা করেছে। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা কার্যকর করতে দেয়নি। অশোক গহলৌত, নবীন পট্টনায়ক বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁরা নিজেদের রাজ্যে আয়ুষ্মান ভারত চালু করেছেন।” তাঁর দাবি, বাংলার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বাংলার বাইরে তো চলেই না। বাংলার মধ্যেও বেসরকারি হাসপাতালগুলি তা নিতে অস্বীকার করে। শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, ‘‘কেন্দ্রের যে কোনও কর্মসূচিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, বিভাগীয় মন্ত্রী, জনপ্রতিনিধিরা ডাক পান। অথচ রাজ্যের কর্মসূচিতে বিরোধী দলনেতা বা বিরোধী জনপ্রতিনিধি ডাক পান না। কেন্দ্রের সরকার রাজধর্ম পালন করতে জানে। এই রাজ্য সরকার রাজধর্ম কী জানেই না।” দল না দেখেই তিনি বগটুই, দত্তপুকুর, ঝালদা়য় গিয়েছেন বলে দাবি শুভেন্দুর।
সংখ্যালঘুদেরও বার্তা দিয়েছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, “রাজ্যে সংখ্যালঘুরা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির মর্যাদা পাচ্ছেন, কিন্তু কর্মসংস্থান হচ্ছে না। মোয়াজ্জেমরা ভাতা পাচ্ছেন কিন্তু সার্বিক মানোন্নয়ন হচ্ছে না। নরেন্দ্র মোদীর প্রতিটি প্রকল্প থেকে দেশের প্রতিটি মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। কে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘু দেখা হয় না।”
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, “এই শুভেন্দুই বলত, ‘মোদী হটাও দেশ, বাঁচাও। বিজেপি হটাও রাজ্য-দেশ বাঁচাও।’ সিবিআইয়ের হাত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ওঁর থেকে রাজধর্মের কথা শুনব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy