দিলীপ ঘোষ ও শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
নাম না করে দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপকে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে বার বার। দিলীপের সেই ‘অভ্যাস’ নিয়েই তাঁর নাম উল্লেখ না করে খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু। কিছু দিন আগে ‘ধামাকা’ হবে বলে ডিসেম্বর মাসের তিনটি দিনের কথা উল্লেখ করেছিলেন শুভেন্দু। তা নিয়ে সোমবারই দিল্লিতে দিলীপ প্রতিক্রিয়া দেন সাংবাদিকদের। জল্পনা, দিলীপের সেই মন্তব্যেরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হাজরার সভা থেকে দিয়েছেন শুভেন্দু।
গেরুয়া শিবিরের একটি অংশের সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে থাকাকালীন দিলীপের সঙ্গে শুভেন্দুর সম্পর্ক ছিল আদায়-কাঁচকলায়। দু’জনের সম্পর্কের সেই রসায়নের কথা প্রকাশ্যেও চলে আসে কয়েক বার। যেমন শুভেন্দুর দিল্লি যাত্রা নিয়ে দিলীপ সাংবাদিকদের প্রতিক্রিয়া দেন, তাঁকে বলে যাননি শুভেন্দু। দু’জনের সম্পর্কের টানাপোড়েন এমন জায়গায় পৌঁছয় যে এক সময় তা মেটাতে হস্তক্ষেপ পর্যন্ত করে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দু’জনের সম্পর্কের সেই ‘উষ্ণতা’র আঁচ আবার পাওয়া গেল হাজরার সভা মঞ্চ থেকে। সোমবার সেখান থেকে শুভেন্দু মন্তব্য করেন, ‘‘আমি মর্নিংওয়াকে বেরিয়ে প্রেস রিলিজ দিই না।’’
এর আগে প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তাতে কখনও কখনও দলকে অস্বস্তিতেও পড়েছে। কিন্তু হঠাৎ এত দিন বাদে দিলীপের সেই ‘অভ্যাস’ নিয়ে শুভেন্দুর কেন খোঁচা তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। কিছু দিন আগে ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর ‘ধামাকা’ হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন শুভেন্দু। সেই প্রসঙ্গে সোমবার দিল্লিতে দিলীপ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘১২ তারিখ কী হবে জানি না। আমার তো কিছু মনে হচ্ছে না। ১২, ১৪ এবং ২১ ডিসেম্বর সম্ভবত তিনটি মামলার দিন ছিল বলে জানি। কিন্তু, আজ মামলা হচ্ছে না। পিছিয়ে গিয়েছে। কী কারণ জানি না।’’ আদালতের মামলার উপর নির্ভর করে কিছু বলা যায় না বলেও মত দাবি দিলীপ ঘোষের। তাঁর ব্যাখ্যা, ‘‘আদালতে কী ফয়সালা হবে তা জানি না। তবে আদালতের মামলার উপর ভিত্তি করে কিছু বলা যায় না। আগেও সিঙ্গুর মামলা নিয়ে হইহই হয়েছে। কিছু হয়নি। রাজনীতিতে এই তারিখের কী গুরুত্ব আছে জানি না।’’ দিলীপের এই মন্তব্যের প্রত্যুত্তর সোমবারই শুভেন্দু দিয়েছেন বলে গেরুয়াশিবিরের একটি অংশের সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনাচক্রে শুভেন্দু যখন এই মন্তব্য করছেন তখন তাঁর পাশে বসেছিলেন দিলীপের উত্তরসূরি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy