বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে উত্তর দিনাজপুরে ভোট লুট করে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। ঘটনাচক্রে সেই সময়ে শুভেন্দুই ছিলেন সেই জেলায় দলের পর্যবেক্ষক। তিনি অবশ্য দায় চাপিয়ে দেন জেলা প্রশাসনের উপরে। তাঁর অভিযোগ, প্রশাসন দাঁড়িয়ে থেকে তৃণমূলকে জিতিয়েছিল। তৃণমূলের বর্তমান জেলা নেতৃত্বের পাল্টা বক্তব্য, দলের জেলা পর্যবেক্ষক হিসেবে ওঁর নির্দেশ ও ছকেই সে বারে জেলায় ভোট লুট ও সন্ত্রাস হয়েছে।
বুধবার কালিয়াগঞ্জে সভা ছিল শুভেন্দুর। সেখান থেকে তিনি বলেন, “গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় গণনাকেন্দ্রে ভোট লুট হয়েছিল। তখন আমি তৃণমূলের পর্যবেক্ষক ছিলাম। জেলা পরিষদে ২৬টি আসনের মধ্যে ৮-১০টা আসনে তৃণমূল জিতেছিল। মাঝ রাতে জেলাশাসক আয়েশা রানি আমাকে ফোন করে বলেন, ‘বিজেপিকে দুটো (আসন) ছেড়ে বাকিটা করে দিলাম’।”
২০১৯ সালে কালিয়াগঞ্জ আসনটি প্রথম বার যেতে তৃণমূল। সেই জয়ের পিছনে তিনিই কান্ডারি বলে দাবি করে শুভেন্দু বলেন, “কালিয়াগঞ্জ উপনির্বাচনে তপন দেব সিংহকে ২৩০০ ভোটে জিতিয়ে ভুল করেছি। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি কালিয়াগঞ্জবাসীর কাছে।” আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় ভোট লুট আটকানোর দাবি করে তিনি বলেছেন, “এ বারে এই জেলায় আমি মনোনয়নপত্র জমা ও গণনাকেন্দ্র সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব নিলাম। বাকি বুথের দায়িত্ব আপনাদের।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেছেন, “শুভেন্দুবাবু ঠিকই বলেছেন, ওঁর নির্দেশ ও ছকেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলায় ভোট লুট ও সন্ত্রাস হয়েছে। গোড়া থেকেই ওঁর কাজকর্ম আমরা মানতে পারিনি। কিন্তু তিনি পর্যবেক্ষক থাকায় কিছু করার ছিল না।” কালিয়াগঞ্জের বাসিন্দা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষের দাবি, “শুভেন্দুবাবুর নির্দেশে রায়গঞ্জে জেলা পরিষদের বিরোধী এক প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। জেলা পরিষদের একটি আসনে পুনর্গণনা করে আমাকে জেতাতে চেয়েছিলেন শুভেন্দুবাবু। কিন্তু আমি মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে যাইনি।”
তৎকালীন জেলাশাসক আয়েশা রানির সঙ্গে এ দিন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তৎকালীন জেলা প্রশাসনের একটি সূত্রের দাবি, সে সময়ে নিরপেক্ষতার সঙ্গে ভোটগ্রহণ হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরে। সব থেকে বেশি পুনর্নির্বাচনের নির্দেশও দেয় জেলা প্রশাসন। একই সঙ্গে সেই সূত্রে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, রাজনৈতিক নেতারা একে অন্যের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ তোলেন, তার জবাবও দেন, কিন্তু আমলাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তোলা কি নীতিগত ভাবে ঠিক? কারণ আমলারা তো কখনওই বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দেন না। তৃণমূলের একটি সূত্রে আবার দাবি, কালিয়াগঞ্জের ভোটে শুভেন্দু পর্যবেক্ষক ছিলেন ঠিকই, কিন্তু সে বারে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে রাজবংশী ভোট তৃণমূলের বাক্সে আনার ব্যাপারে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন কোচবিহারের পার্থপ্রতিম রায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy