বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। — ফাইল চিত্র।
‘দাদগিরি’-তে অভিযুক্ত চিকিৎসক বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের সাসপেনশন আপাতত বহাল রাখছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। গত বুধবার, ৪ ডিসেম্বর আইএমএর সদস্যপদ থেকে তাঁকে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) করার সিদ্ধান্ত ‘অবৈধ’ বলে ঘোষণা করেছিল এই সংগঠনের সদর দফতর। সোমবার তারা আবার জানাল, বিরূপাক্ষের সাসপেনশনকে ‘অবৈধ’ ঘোষণার সেই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত থাকছে। বিরূপাক্ষ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে তিনি এখনও কোনও চিঠি পাননি।
রবিবার আইএমএর জাতীয় সভাপতি আরভি অশোকন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অনিলকুমার জে নায়েককে একটি চিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি জানিয়েছেন, গত ৪ ডিসেম্বর বিরূপাক্ষের সদস্যপদ ফেরানোর পরের দিন, ৫ ডিসেম্বর আইএমএ কলকাতা শাখার প্রধান শর্বরী দত্ত কিছু বিষয় তাদের নজরে আনেন। সেগুলি বিবেচনা করার পরে আবার বিরূপাক্ষের সাসপেনশনকে ‘অবৈধ’ ঘোষণার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে আইএমএর সদর দফতর। শর্বরীর সেই সব অভিযোগ আইএমএর শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাছে পাঠানো হয়েছে। ওই কমিটির প্রধান হিসাবে কাজ করবেন আইএমএর সাধারণ সম্পাদক। তিনি বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে শর্বরীর অভিযোগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। অশোকন এই কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন।
বিরূপাক্ষ জানিয়েছেন, এই নিয়ে এখনও কোনও চিঠি তিনি হাতে পাননি। তাঁর কথায়, ‘‘চিঠি পাওয়া মাত্রই আইনের অধীনে থেকে যা বলার, বলব।’’ আরজি কর-কাণ্ডের আবহে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্যাথোলজি বিভাগের সিনিয়র রেসিডেন্ট বিরূপাক্ষের বিরুদ্ধে ‘দাদাগিরি’র অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগ নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘এটা বলতে পারি, গত কয়েক মাস আমার কিছু সিনিয়র, জুনিয়র এবং আমার জন্য ভয়ঙ্কর বেদনাদায়ক ছিল। কিছু মানুষ শান্তি, সম্প্রীতি এবং নিয়মশৃঙ্খলা ভেঙে মিথ্যাচার ও কূটনীতির সাহায্যে ভুল বার্তা পাঠাচ্ছেন। যখন সর্বসন্মিলিত ভাবে আমাদের ডাক্তারদের এ রকম একটি স্পর্শকাতর ও বিচারাধীন বিষয়ে মহামান্য আদালতের উপরে ভরসা রাখার কথা, তখন রাজনীতি, ব্যক্তি আক্রমণ চলছে। আমাদের বোনের জন্য বিচারের আশা রাখছি। পাশাপাশি, যিনি বা যাঁরা এগুলি করছেন, তার উত্তর যথাযথ সময়ে আইন মেনে দেওয়া হবে।’’
‘দাদাগিরি’র অভিযোগে বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড করেছিল আইএমএর কলকাতা শাখা। গত সপ্তাহে তাঁকে ক্লিনচিট দেয় আইএমএ। বিরূপাক্ষকে সাসপেন্ড করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কলকাতা শাখা, তা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে খারিজ করে দেয় তারা। আইএমএ জানায়, রাজ্য শাখার এক্তিয়ারই নেই কাউকে সাসপেন্ড করার। কাউকে সাসপেন্ড করতে হলে আইএমএ সদর দফতরের অনুমোদন প্রয়োজন। বিরূপাক্ষের ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। সেই কারণেই ওই সাসপেনশনের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করেছে আইএমএ। এ বার এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করল আইএমর সদর দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy