সুশান্ত ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
শেষ পর্যন্ত সিপিএমের জেলা কমিটিতে জায়গা হল না প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের সিপিএমে দীপক সরকার জমানার পুরোপুরি অবসান হল না! খড়্গপুরে দলের ২৫তম জেলা সম্মেলন থেকে জেলা সম্পাদকের পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন বিজয় পাল। তিনি দীপক-সুশান্তদের অনুগামী বলেই দলের অন্দরে পরিচিত এবং সুশান্তকে ‘ছুটি’তে পাঠানোর পরে সিপিএম তাঁকেই ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক করেছিল। নানা জল্পনা থাকলেও এ বারের সম্মেলনে প্রবীণ দীপক ও সুশান্ত, দু’জনেই উপস্থিত ছিলেন।
খড়্গপুরে সোমবার রাতে সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন শেষে ৬৮ জনের নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। খালি রয়েছে আরও দু’টি স্থান। জেলা সম্পাদকের দৌড়ে একাধিক নাম থাকলেও দলের রাজ্য নেতৃত্ব এ বার আলোচনার ভিত্তিতে মীমাংসা-সূত্র বার করেছেন, আগের বারের মতো ভোটাভুটি হয়নি। সম্মেলনের জবাবি ভাষণে দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, এক দিকে আরএসএস-বিজেপি এবং অন্য দিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৃহত্তর বাম ঐক্য গড়ে লড়াই জোরালো ককতে হবে। সেই সঙ্গে শক্তিশালী ককতে হবে দলকে, তার জন্যও দরকার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। পশ্চিম মেদিনীপুরে দলের গোষ্ঠী-বিভাজনের প্রেক্ষিতে সেলিমের বার্তাকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।
প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্তের বিরুদ্ধে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এক মহিলা। ঘটনা অবশ্য বহু পুরনো। দলীয় তরফে তদন্ত শুরু করে সুশান্তকে জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে ‘ছুটি’ দেওয়া হয়েছিল। জেলা সম্মেলন পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা বহাল রাখার পরে তাঁকে জেলা কমিটি থেকেই বাদ দেওয়া হয়েছে। এরই পাশাপাশি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভারপ্রাপ্ত জেলা সম্পাদক নন্দলাল হাজরা এ বার সম্মেলন থেকে পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন। গত কয়েক দিনে হাওড়া, আলিপুরদুয়ার ও উত্তর দিনাজপুরের সম্মেলন থেকে ফের জেলা সম্পাদক হয়েছেন যথাক্রমে দিলীপ ঘোষ, কিশোর দাস ও আনোয়ারুল হক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy