Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
CV Ananda Bose

রাজভবনে ‘শ্লীলতাহানি’র মামলায় রাজ্যকে নোটিস, কেন্দ্রকেও যুক্ত করার অনুমতি দিল সুপ্রিম কোর্ট

শীর্ষ আদালতে করা আর্জিতে অভিযোগকারিণীর আইনজীবীরা সংবিধানের ৩৬১ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্যপালকে ফৌজদারি, সাংবিধানিক ও দেওয়ানি মামলায় রক্ষাকবচ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

রাজভবনে ‘শ্লীলতাহানিকাণ্ডের’ মামলা সুপ্রিম কোর্টে।

রাজভবনে ‘শ্লীলতাহানিকাণ্ডের’ মামলা সুপ্রিম কোর্টে। —ফাইল চিত্র

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ১২:২৭
Share: Save:

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজভবনের মহিলা কর্মী। সেই মামলায় রাজ্যের উদ্দেশে নোটিস জারি করল শীর্ষ আদালত। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও মামলায় যুক্ত করার স্বাধীনতা দেওয়া হল মামলাকারীকে।

শুক্রবার মামলাটি প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে ওঠে। মোট তিনটি নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতিরা। রাজ্যের উদ্দেশে নোটিস জারি, কেন্দ্রকে যুক্ত করতে অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি বেঞ্চের নির্দেশ, কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল যাতে এই মামলায় সহযোগিতা করেন।

গত ২ মে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজভবনের অস্থায়ী এক মহিলা কর্মী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন। কিন্তু সাংবিধানিক রক্ষাকবচ থাকায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগে তদন্ত করা যায় না বলে কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি কলকাতা পুলিশ। খাতায়কলমে অভিযোগ দায়ের না হলেও মহিলার বয়ানের ভিত্তিতে অনুসন্ধান চালিয়ে গিয়েছিল কলকাতা পুলিশ। ডিসি (সেন্ট্রাল) বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হন বলেও লালবাজার সূত্রে জানা যায়। পুলিশ উদ্যোগ নিয়ে রাজভবনের সিসি ক্যামেরার কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করে অভিযোগকারিণীর বয়ানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখার চেষ্টাও করছিল। সেই সঙ্গে মহিলাকে পুলিশের কাছে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রাজভবনের কয়েক জন আধিকারিকের নামে মামলাও রুজু করেছিল পুলিশ। কিন্তু কলকাতা হাই কোর্টের স্থগিতাদেশে সেই তদন্ত বন্ধ হয়ে যায়।

এর পরেই গত ৩ জুলাই সুপ্রিম কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন ‘নির্যাতিতা’। শীর্ষ আদালতে করা আর্জিতে অভিযোগকারিণীর আইনজীবীরা সংবিধানের ৩৬১ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্যপালকে ফৌজদারি, সাংবিধানিক ও দেওয়ানি মামলায় রক্ষাকবচ দেওয়া নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন। শুক্রবার আদালতে অভিযোগকারিণীর আইনজীবীরা সওয়াল করতে গিয়ে দাবি করেন, গত ২৪ এপ্রিল ও ২ মে দু’টি ঘটনায় কিছু তথ্য সংগ্রহ করা গিয়েছে। কিন্তু তদন্ত করা যাচ্ছে না। খুবই গুরুতর অভিযোগ। সংবিধানের ৩৬১ অনুচ্ছেদের রক্ষাকবচ রয়েছে। তিন সপ্তাহ পরে আবার এই মামলার শুনানি হবে বলে খবর আদালত সূত্রে।

শীর্ষ আদালতের কাছে অভিযোগকারিণীর আবেদন ছিল, সুপ্রিম কোর্ট যাতে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে কয়েকটি নির্দেশ জারি করে। প্রথমত, জরুরি প্রয়োজনে তদন্তের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ যেন রাজ্যপালের বয়ান রেকর্ড করতে পারে। দ্বিতীয়ত, অভিযোগকারিণীকে যেন সুরক্ষা দেয় পুলিশ। তৃতীয়ত, অভিযোগকারিণীর পরিচয় গোপন রাখা হয়নি। এর জন্য যেন তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। চতুর্থত, ৩৬১ নম্বর অনুচ্ছেদে থাকা রক্ষাকবচ রাজ্যপাল কতটা ব্যবহার করতে পারেন, তা নিয়ে বিধি তৈরি করুক শীর্ষ আদালত।

অন্য বিষয়গুলি:

CV Ananda Bose
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy