ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিন পেলেন শেখ সুফিয়ান।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে শেখ সুফিয়ান নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি সমর্থককে খুনের অভিযোগের মামলা দায়ের করেছিল। কলকাতা হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ২০ জানুয়ারি শীর্ষ আদালত তাঁকে গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল। আজ তাঁর আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি এ এস ওকা-র বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘‘আমরা গ্রেফতারির আগে আগাম জামিন মঞ্জুর করছি কিন্তু বহু শর্ত চাপানো হয়েছে।’’
তাৎপর্যপূর্ণ হল, মঙ্গলবারই সিবিআই আদালতে অভিযোগ জানিয়েছিল, সুফিয়ানের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষীদের বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশ এফআইআর দায়ের করছে। এই অভিযোগ সত্ত্বেও সুপ্রিম কোর্ট সুফিয়ানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে। জামিন মেলার পরে তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘‘বিজেপির চক্রান্তে আমার মতো একাধিক তৃণমূল নেতাকে সিবিআই মিথ্যে মামলায় জড়িয়েছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর ইশারাতেই সিবিআই চলছে৷ তবে বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার আস্থা রয়েছে।’’
রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামের চিল্লোগ্রামে দেবব্রত মাইতি নামে এক বিজেপি সমর্থককে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। দেবব্রতের পরিবার মানবাধিকার কমিশনের কাছে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাতে সুফিয়ানের নাম ছিল বলে অভিযোগ। সিবিআই তদন্তে নেমে এফআইআর দায়ের করে সুফিয়ানের জামাই শেখ হবিবুল-সহ একাধিক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআইয়ের যুক্তি ছিল, ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় অভিযোগকারীদের যে বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে, তাতে সুফিয়ানের নাম রয়েছে। উল্টো দিকে সুফিয়ানের হয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বল যুক্তি দেন, ২০২১-এর ৩ মে-র ঘটনায় প্রথমে যে এফআইআর দায়ের হয়, তাতে সুফিয়ানের নাম ছিল না। সিবিআই অগস্টে তদন্তের ভার নেয়। অক্টোবরে প্রথম চার্জশিট, জানুয়ারিতে দ্বিতীয় চার্জশিটেও অভিযুক্ত হিসাবে সুফিয়ানের নাম ছিল না। এক জন সাক্ষী ১৬৪ ধারায় বয়ান দিয়ে বলেছিলেন, তিনি শুনেছেন যে সুফিয়ান ওই ঘটনার পিছনে মূল মাথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy