ফাইল চিত্র।
তিনি যত দিন শুধু বিজেপি সাংসদ ছিলেন, তত দিন সমস্যা ছিল না। কিন্তু রাজ্য বিজেপি সভাপতি হতেই, তাঁর অধীনে গবেষণারত চার পড়ুয়াকে বিভাগের অন্য শিক্ষকদের কাছে বদলি করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার অভিযোগ তুললেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেই তাঁর অধীনে থাকা গবেষণারত পড়ুয়াদের অন্য শিক্ষকদের কাছে বদলি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও কর্তৃপক্ষের দাবি, যেহেতু সুকান্তবাবু সাংসদ হওয়ার পর থেকেই ‘লিয়েন’-এ রয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উপস্থিতি নিয়মিত নয়, সেই কারণে পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভেবে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সাংসদ হওয়ার আগে থেকেই সুকান্ত গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটে বালুরঘাট থেকে জিতে আসার পরেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘লিয়েন’ নেন। প্রদেশ বিজেপি সভাপতি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনও বেতন না নিলেও, মাঝেমধ্যেই পড়াতে যান সেখানে। সাংসদ থাকাকালীন তাঁর অধীনে চার পড়ুয়া গবেষণার কাজও চালাচ্ছিলেন। সুকান্তের
দাবি, সাংসদ হিসেবে যত দিন ছিলেন, তত দিন ওই গবেষণারত পড়ুয়াদের ‘গাইড’ হিসাবে কাজ করতে তাঁর কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসে তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতি হওয়ার পরেই সমস্যার সূত্রপাত হয়।
গত ডিসেম্বর মাসে মালদহে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুকান্তের অভিযোগ, ‘‘সেই সফরেই মুখ্যমন্ত্রী গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, আমার অধীনে কোনও পড়ুয়া যেন গবেষণা না করেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চাপ দেওয়া হয়।’’
অভিযোগ মানতে রাজি নন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার বিভাগীয় প্রধান বিবেকানন্দ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়মানুযায়ী, এক জন সাংসদ তাঁর সাংসদ সময়কালের গোটাটাই লিয়েন-এ থাকতে পারেন। বা সংসদের অধিবেশন চলাকালীন তিনি সেখানে উপস্থিত থেকে বাকি সময় কলেজে নিয়মিত ভাবে অধ্যাপনা করে যাবেন।’’ বিভাগীয় প্রধানের বক্তব্য, ‘‘সুকান্তবাবু সাংসদ হওয়ার পরেই লিয়েন নিয়েছেন। যার অর্থ তিনি নিয়মিত ভাবে অধ্যাপনার মধ্যে নেই। এ দিকে গাইডের ক্ষেত্রে নিয়ম, সেই ব্যক্তিকে গবেষণারত
পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত উপস্থিত থাকতে হবে। যেহেতু সুকান্তবাবু বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত নন, তাই গবেষণারত পড়ুয়াদের স্বার্থের কথা ভেবে ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তি ছেত্রী বলেন, "রাজনৈতিক দলের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও মন্তব্য করব না।’’ রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ‘‘ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী গবেষক পড়ুয়ার পুনর্বণ্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। সুকান্তবাবু সব জেনেও রাজনীতি করার জন্য ভিন্ন কথা বলছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy