Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Dilip Ghosh

Sukanta Majumdar: সিবিআই আরও তাড়াতাড়ি কাজ করলে আমরা খুশি হতাম, এ বার দিলীপের দাবি সুকান্তের গলায়

সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ‘সেটিং’-এর অভিযোগ এনেছিলেন। সুকান্ত অবশ্য ‘সেটিং’-এর কথা বলেননি।

দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার।

দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদার। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যারাকপুর ও কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২২ ০৭:০৮
Share: Save:

সিবিআই সম্পর্কে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে কার্যত সায় দিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুকান্তের জোট-তত্ত্ব দিলীপের সিলমোহর পেল।

শনিবার কাঁচরাপাড়ায় ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি বিমলেশ তিওয়ারির বাড়িতে যান সুকান্ত। জেলা বিজেপি সূত্রে জানানো হয়, গত ২৬ জুলাই ব্যারাকপুরে বিজেপির বিক্ষোভ আন্দোলনে পুলিশের লাঠিচার্জের সময় আক্রান্ত হয়েছিলেন বিমলেশ। ব্যারাকপুরে সুকান্ত বলেন, “ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলায় সিবিআই আরও তাড়াতাড়ি কাজ করলে আমরা খুশি হতাম। এক বছর পার হয়ে গিয়েছে। আগে গ্রেফতার হলে আমরা খুশি হতাম।”

সম্প্রতি প্রায় একই বক্তব্য শোনা যায় দিলীপের গলায়। সেই সঙ্গে তিনি সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ‘সেটিং’-এর অভিযোগ এনেছিলেন। সুকান্ত অবশ্য ‘সেটিং’-এর কথা বলেননি। সূত্রের খবর, দিলীপের এই বক্তব্যের জন্য সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রকাশ নড্ডা সতর্কও করেছিলেন তাঁকে। আর এ বার কার্যত একই মন্তব্য করলেন সুকান্ত। যদিও তৃণমূল ও বাম-কংগ্রেস এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “দিলীপ চাইছেন শুভেন্দুকে গ্রেফতার হন। সুকান্ত চাইছেন দিলীপ গ্রেফতার হন। ওদের রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই সিবিআইকে দিয়ে জমি তৈরি করতে চাইছে।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, “শুধু শুধু বাজার গরম করে কী হবে? কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যে রাজ্যে তৃণমূলকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, এ কথা কি ওঁরা বুঝতে পারছেন না?” প্রদেশ কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার বলেন, “এই প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীকে করতে হবে। সিবিআই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীন।”

এ দিকে, এ দিন সুকান্তর জোট তত্ত্বের সমর্থন শোনা গেল দিলীপের গলায়। সুকান্ত সম্প্রতি রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে সিপিএম কংগ্রেস ও তৃণমূলের সৎ নেতাদের বিজেপির ঝান্ডার তলায় এসে জোট গড়ার আহ্বান জানান। দিলীপ এ দিন বলেন, “আগে রাজ্যকে অপশাসন মুক্ত করতে হবে। তাই সবাই একজোট হয়ে লড়াই করতে হবে। তৃণমূল সরে গেলে তারপর যে যার রাজনীতি করবেন।’’ যে বিজেপি কেন্দ্রীয় স্তরে বিরোধী ঐক্যকে কটাক্ষ করে, তারা কেন রাজ্যে জোট চাইছে? দিলীপ বলেন, “দেশে বিরোধী ঐক্যের নেতা কে? আমরা বলছি রাজ্যে আমরাই নেতৃত্ব দেব। আমাদের নেতা মানতে অসুবিধা না থাকলে বাকিরা আসুক।”

যদিও রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের দাবি, “বিজেপিকে বাংলার মানুষ একক বিরোধী দলের মর্যাদা দিয়েছে। বিজেপি একাই তৃণমূলকে হারাতে সক্ষম।” ফলে প্রথমে সুকান্ত, পরে দিলীপের বক্তব্যে দলের মধ্যে নীতিগত সমর্থন রয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দিলীপের বক্তব্য প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, “ওঁর বক্তব্য প্রমাণ করছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির একার লড়াইয়ে শক্তি নেই।” সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, “বাংলায় দুর্নীতির ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্ত ৮ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে, কেন্দ্রে বিজেপির সরকার। তদন্ত ঠিকমতো হলে তা-ও একটু বলার মুখ থাকত ওদের! কারা আসলে কাকে সাহায্য করছে, মানুষ ঠিকই দেখতে পাচ্ছেন।” শুভঙ্কর বলেন, “বিজেপি আর তৃণমূল একই মুদ্রার দুটো পিঠ।”

অন্য বিষয়গুলি:

Dilip Ghosh Sukanta Majumdar BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy