সুজিত বসু কি বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র?
সব্যসাচী দত্তের জায়গা নিতে পারেন সুজিত বসু। বিধাননগরের বিধায়ক তথা রাজ্যের দমকল মন্ত্রীকে এ বার বিধাননগরের মেয়র পদে বসানোর তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। বিধাননগরের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদনও সুজিত বসু ইতিমধ্যেই জমা দিয়ে দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে তৃণমূলের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বিষয়ে এখনও কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
পুর আইন অনুযায়ী কোনও পুরসভার কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান বা মেয়র হতে হলে সেই পুর এলাকার ভোটার হওয়া জরুরি। সুজিত বসু বিধাননগরের বিধায়ক ঠিকই। কিন্তু তিনি বিধাননগর পুর নিগমের ভোটার নন। তাঁর নাম যে এলাকার ভোটার তালিকায় রয়েছে, সেটি দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্তর্গত।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সুজিত বসু দক্ষিণ দমদম পুর এলাকার ভোটার তালিকা থেকে নিজের নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জমা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনে। একই সঙ্গে বিধাননগর পুর এলাকার ভোটার তালিকায় নিজের নাম তোলার আবেদনপত্রও তিনি জমা করে দিয়েছেন। বিধাননগর কেন্দ্রের বিধায়ক হিসেবে সুজিত বসুর একটি অফিস রয়েছে সল্টলেকের বিবি ব্লকে। সেই ঠিকানা দেখিয়েই বিধাননগরের ভোটার তালিকায় নাম তোলার আবেদন তিনি জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্রুত বেড়েছে স্কোর, বিজেপিতে বড় উত্থান হতে পারে ভারতী ঘোষের
এ বিষয়ে সুজিত বসুর কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। তিনি বিধাননগরের মেয়র হচ্ছেন কি না, এ প্রশ্নের জবাবে সুজিত বলেন, ‘‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আপাতত একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি।’’
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রতিক্রিয়াও ঠিক একই। সুজিত বসু কি বিধাননগরের পরবর্তী মেয়র? এ প্রশ্নের জবাবে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘আমি জানি না, দল জানে।’’ এক এলাকার ভোটার তালিকা থেকে অন্য এলাকার ভোটার তালিকায় নাম তোলানোও কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়— ব্যাখ্যা জেলা তৃণমূল সভাপতির।
আরও পড়ুন: ‘এত নির্লজ্জ আপনি, এখনও চেয়ার আঁকড়ে আছেন!’, বনগাঁর পুর চেয়ারম্যানকে তীব্র ভর্ৎসনা বিচারপতির
বিধাননগর, নিউটাউন এবং রাজারহাটে সব্যসাচী দত্তর গোষ্ঠীর সঙ্গে সুজিত অনুগামীদের সম্পর্ক ঠিক কেমন, তা কারও অজানা নয়। এক দলে থেকেও সব্যসাচী এবং সুজিত প্রকাশ্যে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছেন একাধিক বার। তাই মেয়র পদে এখন সুজিত বসুকে বসানো হলে সব্যসাচী দত্তর প্রতি তৃণমূল নেতৃত্বের বার্তাটা ঠিক কী হবে, তা বুঝে নিতে সদ্য প্রাক্তন মেয়রের অসুবিধা হবে না। সব্যসাচীকে যে দলের আর প্রয়োজন নেই, সে কথা আরও স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিতেই তৃণমূল এই রকম একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে রাজনৈতিক শিবির মনে করছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy