শুভঙ্কর বালা ও রিকি আগরওয়াল। নিজস্ব চিত্র
সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় এ বারে জায়গা করে নিলেন অন্তত দুই বাঙালি। এক জন ঝাড়গ্রামের ভূমিপুত্র শুভঙ্কর বালা। সর্বভারতীয় ক্রমতালিকায় তাঁর জায়গা ৭৯ নম্বরে। রাজ্যে তিনিই প্রথম। তার পরে রয়েছেন শিলিগুড়ির রিকি আগরওয়াল। জাতীয় ক্রমপর্যায়ে তিনি রয়েছেন ৮৭ নম্বরে। তাঁদের থেকে কিছুটা পরেই রয়েছে ইসলামপুরের মনজর হুসেন আনজুম (প্রিন্স)-এর নাম। তিনি রয়েছেন ১২৫ নম্বরে। বাংলা থেকে এ বারে ইউপিএসসি পরীক্ষার সফলের তালিকায় এ ছাড়াও আরও আট জন।
ঝাড়গ্রামের শুভঙ্করের বাবা রাজনারায়ণ বালা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চিকিৎসক। ঝাড়গ্রামের কুমুদ কুমারী ইনস্টিটিউশন থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরে শুভঙ্কর তেলঙ্গানায় বি-টেক পড়তে যান। তার পরে বেসরকারি সংস্থায় চাকরিও পান। তিনি এ দিন বলেন, “চাকরি ছেড়ে, সমাজমাধ্যম থেকে দু’বছর নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলাম। কোচিং না নিয়ে রোজ নিয়ম করে পড়াশোনা করেছি। ইচ্ছে থাকলে সফল হওয়া যায় বলেই মানি।” নিজের রাজ্যে আইএএস হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে তাঁর।
শিলিগুড়ির রিকি আগরওয়াল কিন্তু দু’বছর আগেই ইউপিএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের আধিকারিক হিসেবে দিল্লিতে কাজে যোগ দেন। আইআইটি খড়্গপুরের এই প্রাক্তনীর মূল লক্ষ্য ছিল আইএএস হওয়া। পরিবারের লোকজনের দাবি, সেই লক্ষ্যেই তিনি চাকরির সঙ্গে পড়াশোনা চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত প্রথম একশোর মধ্যে আসায় বাড়িতে খুশির হাওয়া। রিকি বলেন, ‘‘র্যাঙ্ক হিসাবে আইএএস পাব কি না, আগাম বলতে পারছি না। যদিও প্রথম পছন্দ সেটাই। না হলে আইপিএস। তবে যেখানেই সুযোগ মিলুক, নিজের সবটা দিয়েই কাজ করতে হবে।’’
বাবার স্বপ্ন ছিল ছেলে বড় হয়ে আইএএস হবে। সেই লক্ষ্যেই বরাবর পড়াশোনা করে এসেছেন ইসলামপুর শহরের ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিত মনজর। বরাবরই ভাল ফল করেছেন। পড়াশোনার খরচ বেশির ভাগই এসেছে বৃত্তির টাকায়। এ বারে ১২৫তম স্থান পেয়েছেন ইউপিএসসি-র পরীক্ষায়। তাঁর একটাই আফসোস, বাবা দেখে যেতে পারলেন না। কানপুর আইআইটি থেকে এম-টেক করা মনজর রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী গোলাম রব্বানির শ্যালিকা পুত্র। স্থানীয় লোকজনের বলছেন, মনজরের পরিবারের ছেলেমেয়েরা প্রায় সকলেই কৃতী। এক ভাই ডাক্তার, আর এক ভাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছেন। বোন ডাক্তারিতে ভর্তি হতে তৈরি হচ্ছেন। মা নিগার সুলতানা বলেন, ‘‘ওদের বাবা চেয়েছিলেন, ছেলেমেয়েরা কৃতী হোক। মনজর বড় ছেলে। ও মুখ রেখেছে।’’ মনজর বলছেন, ‘‘বেঙ্গল ক্যাডারের জন্যই আবেদন করে রেখেছিলাম। রাজ্যেই কাজ করতে চাই।’’
সূত্রের খবর, এ ছাড়াও ময়ূরী মুখোপাধ্যায় (১৫৯ নম্বর স্থান), ইন্দ্রাশিস দত্ত (৩১৮ নম্বর স্থান), রজতকুমার পাল (৩৯৪ নম্বর স্থান), গৌরব গোস্বামী (৪৪৩ নম্বর স্থান), মিঠুন বিশ্বাস (৪৮৭ নম্বর স্থান), রতন জানা (৫৪৮ নম্বর স্থান), অভিষেক গোস্বামী (৫৭৪ নম্বর স্থান) ও রুক্মিনী বন্দ্যোপাধ্যায় (৭৫৩ নম্বর স্থান) রয়েছেন সফলদের তালিকায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy