Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Student

Student Problem: ফর্ম ভরেও ফল অমিল প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের

পরীক্ষার্থীদের আশঙ্কা, এর ফলে তাদের এক বছর নষ্ট হবে।

সমস্যায় পড়ুয়ারা

সমস্যায় পড়ুয়ারা —প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০২১ ০৭:১৪
Share: Save:

জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার জন্য প্রবল উৎসাহে ফর্ম পূরণ করেছিল ওরা। কিন্তু করোনার প্রকোপে পরীক্ষা বাতিল হয়ে যাওয়ায় কোনও মূল্যায়নই হল না প্রাইভেটে হাই মাদ্রাসা পরীক্ষায় (মাধ্যমিকের সমতুল) বসতে চাওয়া কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীর। পরীক্ষার্থীদের আশঙ্কা, এর ফলে তাদের এক বছর নষ্ট হবে।

স্কুলে পড়তে পড়তে অনেকেই নানা কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেয় অথবা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই আবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে মূল স্রোতে ফিরতে চায়। মাঝখানে কোনও কারণে এক বা দু’বছর নষ্ট হওয়ার পরেও অনেক সময় প্রাইভেটে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসার জন্য অনেকে আবেদন করে। চলতি বছর এই ধরনের অনেক পরীক্ষার্থী প্রাইভেটে হাই মাদ্রাসার মাধ্যমে দশম শ্রেণি পাশ করার আবেদন করেছিল। ওই পরীক্ষার্থীরা জানাচ্ছে, ফর্ম পূরণ হলেও হাই মাদ্রাসার পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় তারা পরীক্ষায় বসতে পারেনি।

বারাসতের কয়েক জন প্রাইভেট পরীক্ষার্থী জানাচ্ছে, তারা মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে প্রাইভেটে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে চেয়েছিল। কিন্তু পর্ষদ এ বার প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ফর্ম পূরণের ব্যবস্থাই রাখেনি। তাই তারা হাই মাদ্রাসার মাধ্যমে ফর্ম পূরণ করে।

শেষাদ্রি বন্দ্যোপাধ্যায় নামে হাই মাদ্রাসায় বসতে চাওয়া এক প্রাইভেট পরীক্ষার্থী জানায়, হাই মাদ্রাসা ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দশম শ্রেণির পাঠ্যক্রম কার্যত একই রকম হওয়ায় প্রস্তুতি চালাতে কোনও সমস্যা হয়নি। শেষাদ্রি বলল, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে যখন ফর্ম পূরণ করা গেল না, তখন ভাবলাম, একটা বছর নষ্ট করব কেন। তার চেয়ে হাই মাদ্রাসার মাধ্যমে দশম শ্রেণির পরীক্ষা দিয়ে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে যাব। কিন্তু পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় মূল্যায়নই হল না। বছরটা মনে হচ্ছে নষ্টই হয়ে গেল।”

সোমনাথ দে নামে এক শিক্ষক প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য কোচিং সেন্টার চালান। তিনি বলেন, “কয়েক হাজার পরীক্ষার্থী এক বছর পিছিয়ে পড়ল। যে-পদ্ধতিতে এ বার সাধারণ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন হয়েছে, সে-ভাবে ওদের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। মাদ্রাসা বোর্ড যদি ওদের বাড়ি থেকে অনলাইন টেস্টের ব্যবস্থা করত, তা হলে ওদের মূল্যায়ন হয়ে যেতে পারত। রবীন্দ্র মুক্ত বিদ্যালয় নিজেদের প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে অনলাইন টেস্ট নিয়েছে। ফলে তাদের মূল্যায়ন হয়েছে।”

পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি আবু তাহের কামরুদ্দিন জানান, আগে তো ওই সব প্রাইভেট পরীক্ষার্থীর কোনও পরীক্ষাই হয়নি। তা হলে কিসের ভিত্তিতে ওদের মূল্যায়ন হবে? দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় সাধারণ পরীক্ষার্থীদের যে-ভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছে, ওদের তেমন মূল্যায়ন সম্ভব নয়। তবু ওদের ফর্ম পূরণ করানো হয়েছিল এই ভেবে যে, যদি করোনা পরিস্থিতি ভাল হয় এবং অফলাইনে পরীক্ষা হয়, তা হলে ওরা পরীক্ষা দেবে। কিন্তু পরীক্ষা বাতিল হয়ে গেল। ‘‘ওদের বলেছি, করোনা পরিস্থিতি ভাল হলে, শিক্ষা দফতর পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিলেই ওদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। ওদের আর নতুন করে পূরণ ফিলাপ করতে হবে না,’’ আশ্বাস আবু তাহের কামরুদ্দিনের।

অন্য বিষয়গুলি:

Student problems High Madrasah
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy