অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ডাক্তারিতে ভর্তির জন্য এ বারের মতো ছাড়পত্র পেয়েছিল রাজ্য স্তরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা। ২০ জুলাই সেই পরীক্ষা হয়েও গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের সেই মেডিক্যাল জয়েন্টের মডেল উত্তর এবং ওএমআর শিটে প্রচুর ভুল আছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ, যে-মডেল উত্তরপত্রটি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে, তাতে অনেক প্রশ্নের, বিশেষ করে জীববিদ্যা বিভাগের বেশ কয়েকটি প্রশ্নের ভুল উত্তর রয়েছে।
তবে ভুল উত্তর শুধরে দেওয়ার উপায়ও বলে দেওয়া আছে সাইটে। বোর্ড জানিয়েছে, কোনও পরীক্ষার্থীর যদি মনে হয় উত্তরে ভুল রয়েছে, সেটা তাঁরা জানাতে পারেন। প্রশ্নপত্র ও মডেল উত্তর সংক্রান্ত কোনও নতুন পর্যবেক্ষণ থাকলে তা-ও লিখিত ভাবে জানানো যাবে বোর্ডের রেজিস্ট্রারকে। ১৩ অগস্টের মধ্যে মুখবন্ধ খামে যথেষ্ট ‘রেফারেন্স’-সহ প্রশ্নের যথার্থ উত্তর পরীক্ষার্থীকে নিজেকে গিয়ে জমা দিতে হবে বোর্ডের দফতরে। সেই সঙ্গে জমা দিতে হবে নগদ ১০০০ টাকাও।
বোর্ডের এই নির্দেশের দিকেই আঙুল তুলেছেন কিছু পরীক্ষার্থী। বোর্ড ভুল উত্তর ছাপলে তা সংশোধনের দায় পরীক্ষার্থীর উপরে বর্তাবে কেন? কেনই বা অনলাইনের বদলে এত টাকা নিয়ে পরীক্ষার্থীকে বোর্ডের অফিস পৌঁছতে হবে?
বোর্ডকর্তারা জানাচ্ছেন, তাঁরা যা করার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশেই করেছেন। জমা পড়া আবেদন নিয়ে জয়েন্ট বোর্ড ১৪-২০ অগস্ট বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। বিশেষজ্ঞেরা ২০ অগস্ট চূড়ান্ত উত্তরপত্র প্রকাশ করবেন ওয়েবসাইটে। ফল প্রকাশিত হবে ২৭ অগস্ট। কিন্তু কেন পড়ুয়াদের উপরে ঘুরিয়ে এই চাপ দিচ্ছেন বোর্ডকর্তারা?
জয়েন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যান সজল দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘প্রতি বছরই পরীক্ষার ফল বেরোনোর পরে অনেক পড়ুয়া মডেল উত্তরপত্রের গন্ডগোল নিয়ে অভিযোগ জানান। ফল বেরিয়ে যাওয়ার পরে বোর্ডের কিছুই করার থাকে না। স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই হাইকোর্টের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy