ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোগী-প্রত্যাখ্যানের পাশাপাশি ওই প্রকল্পে ভুয়ো বিল করা বা একই প্যাকেজে দু’বার বিল তৈরির বিষয়েও সতর্ক থাকার বার্তা দিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্য-অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী।
সোমবার ‘প্রোগ্রেসিভ নার্সিংহোম অ্যান্ড হসপিটালস অ্যাসোসিয়েশন’-এর পঞ্চম বার্ষিক রাজ্য সম্মেলনে সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘‘কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিল এবং ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট আইন অনুযায়ী পরিকাঠামোয় খামতি দেখা যাচ্ছে। সেগুলি সংশোধন করতে হবে। আমরা নার্সিংহোমের পিছনে পুলিশগিরি করতে চাই না। নিজেরাই বিষয়গুলি ঠিক করে নিলে স্বাস্থ্য দফতরকেও জরিমানা করতে হবে না।’’
রাজ্যের প্রায় ১৬০০ নার্সিংহোম ও মাঝারি মাপের হাসপাতাল রয়েছে ওই সংগঠনে। তাদের প্রায় ৫০০ জন প্রতিনিধি এ দিন সম্মেলনে হাজির ছিলেন। সংগঠনের এ রাজ্যের চেয়ারম্যান শেখ আলহাজউদ্দিন জানান, মানুষের স্বার্থে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে সুচারু ভাবে বাস্তবায়িত করতে এগিয়ে আসতে হবে সমস্ত নার্সিংহোম ও হাসপাতালকে। তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ অসাধু পথ অবলম্বন করছেন। সেই কারণে সিজ়ার-সহ কয়েকটি চিকিৎসা প্যাকেজ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। সরকারের কাছে আবেদন করেছি, ওগুলি বাদ দিলে হবে না। যারা অসাধু কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে।’’
অনেক সময়ে স্বাস্থ্যসাথীর বিল বকেয়া থাকার অভিযোগ তোলেন নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও আলহাজউদ্দিনের দাবি, ‘‘প্রযুক্তিগত কারণে হয়তো কিছু সমস্যা হয়। সমস্ত নথি ঠিক থাকলে এখন ৩০ দিনের মধ্যেই বিল মিটিয়ে দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন। তার থেকেও বেশি সময় লাগলে সুদ-সহ টাকা মেটানো হচ্ছে।’’
তবে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বেঁধে দেওয়া চিকিৎসার খরচ কয়েকটি ক্ষেত্রে পুনর্বিবেচনার আবেদনও তাঁরা করেছেন বলে জানালেন সংগঠনের পদাধিকারীরা। পাশাপাশি, পরিকাঠামোর ক্ষেত্রে শহরের বড় হাসপাতালের সঙ্গে শহরতলির নার্সিংহোম বা মাঝারি ও ছোট মাপের হাসপাতালকে যাতে এক না করা হয়, সে ব্যাপারেও বিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy