—ফাইল চিত্র।
উন্নয়নের কথা বলে জুনিয়র হাই এবং মাধ্যমিক স্তরের অনেক স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করেছে রাজ্য সরকার। এ ক্ষেত্রে শিক্ষকের প্রয়োজন হলেই কাজে লাগত ১৯৯৪ সালের কনভার্সন বা রূপান্তর বিধি। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই বিধি বাতিল বলে সোমবার ঘোষণা করায় এই প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হবে বলেই আশঙ্কার করছে শিক্ষা শিবির।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, স্কুলকে উন্নীত করা একটা ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই গতি ত্বরান্বিত হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরে। ২০১৭ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে কৃতীদের সংবর্ধনায় বেশ কিছু স্কুলকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানায় অনেক পড়ুয়া। নিজের স্কুলে উচ্চ মাধ্যমিক পড়তে চাইলেও সুবিধা না-থাকায় তাদের অন্য স্কুলে চলে যেতে হচ্ছে। এই সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পরে অতি দ্রুত বিভিন্ন স্কুলকে উন্নীত করতে উদ্যোগী হয় দফতর। শিক্ষকপদের অনুমোদন না-থাকলে মোট শিক্ষকপদ অপরিবর্তিত রেখে মাধ্যমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে শিক্ষকপদের রূপান্তর করাতে হয়। নানা ক্ষেত্রে শিক্ষক নিয়োগ আটকে থাকায় গোটা রাজ্যেই রূপান্তর প্রক্রিয়া চলেছে।
ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুলের গোলমালে শিক্ষকপদের রূপান্তর প্রক্রিয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ায় গোটা প্রক্রিয়ায় দাঁড়ি টেনেছেন মন্ত্রী। কিন্তু কোনও বিকল্প উপায় এখনও বেরোয়নি।
ডিআই বা স্কুল পরিদর্শকদের একাংশের প্রশ্ন, রূপান্তর না-হলে শিক্ষক মিলবে কোথায়? স্কুল কমিশনারেটের এক কর্তা জানান, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। সমস্যা মিটে যাবে। তবে ডিআই-দের একাংশ জানান, কোনও স্কুলেরই রূপান্তর-প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে না। পঠনপাঠন হোক না-হোক, মন্ত্রীর নির্দেশই অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চান তাঁরা।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে স্বপন মণ্ডলের দাবি, ‘‘কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। শিক্ষকপদের অনুমোদন না-দিয়ে রূপান্তর বন্ধ করলে পড়াবে কে? অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy