—ফাইল চিত্র।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বোর্ড গঠনের শেষ দিন ছিল ২৬ সেপ্টেম্বর। সেই দিনের মধ্যে রাজ্যের মোট ৩২০৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৩১১৭টিতে বোর্ড গঠন শেষ হয়েছে। বোর্ড গঠনের কাজ সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। সেখানে ১৭০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৪৮টিতেই বোর্ড গড়া যায়নি। এর পরেই রয়েছে পূর্ব বর্ধমান। সেখানে ২২৩টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বোর্ড গঠন হয়নি ১৭টিতে। বাঁকুড়াতে বোর্ড গঠন হয়নি ৯ টি পঞ্চায়েতে। পুরুলিয়ায় চারটি পঞ্চায়েত সমিতিতেও বোর্ড গড়া যায়নি। জেলা পরিষদে বোর্ড গঠন বাকি উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তর দিনাজপুরে। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে বোর্ড গঠনের শেষ দিন ছিল ২৮ সেপ্টেম্বর।
বোর্ড গঠন ঘিরে কোথাও কোথাও শাসক দলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘাত যেমন বেধেছে, তেমনি প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের অন্তর্কলহও। যার জেরে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফয়সালা হওয়া বা শাসক দলের একচ্ছত্র আধিপত্য থাকা পঞ্চায়েতেও বোর্ড গড়া যায়নি। যেমন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদে ৫৭টি আসনই তৃণমূলের দখলে। আর উত্তর দিনাজপুরের ২৬টি আসনের মধ্যে ২৪টিই তারা পেয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, ‘‘২৬ সেপ্টেম্বর গঠন হওয়ার কথা ছিল। ওই দিন বন্ধ থাকায় এলাকায় জেলা পরিষদের সদস্যদের উপস্থিতি প্রয়োজন ছিল। সে কারণেই বৃহস্পতিবার বোর্ড গঠন হবে।’’
স্থানীয় স্তরে মতানৈক্য এড়াতে পদাধিকারীদের নাম স্থির করে বন্ধ খামে পাঠাচ্ছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। উত্তর ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা রাজ্য সভাপতি বুধবার রাতে সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতির নাম পাঠাবেন বলে স্থির হয়েছে। আর উত্তর দিনাজপুরে বুধবার বোর্ড গঠন হওয়ার কথা। তৃণমূলের জেলা সভাপতি অমল আচার্য বলেন, ‘‘রাজ্য নেতৃত্বের তরফে সভাধিপতি এবং সহ-সভাধিপতির নাম জানানো হবে।’’
পুরুলিয়ার ক্ষেত্রে বিরোধীদের অভিযোগ, এই জেলায় থমকে থাকা বোর্ডগুলির অধিকাংশই শাসক দল দখল করতে পারবে না। তাই বোর্ড গঠন স্থগিত রেখেছে জেলা প্রশাসন। তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতো অবশ্য এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ফলাফল ত্রিশঙ্কু হওয়ায় ওই সব এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে। তাই বোর্ড গঠন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
পঞ্চায়েত দফতরের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘দ্রুত বোর্ড গঠন করতে বলা হয়েছে। বোর্ড গঠনের সময়ে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখে। পরিস্থিতি বুঝে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy