আংশিক তৈরি আগ্লেয়াস্ত্রের এই রকম অংশই উদ্ধার করেছে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র্
পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার দুর্গাচক এলাকায় বড়সড় বেআইনি অস্ত্র তৈরি কারখানার হদিশ পেলেন কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স(এসটিএফ)-এর গোয়েন্দারা। দুর্গাচকের খঞ্জনচক এলাকার ভাগ্যবন্তপুর গ্রামের একটি নির্মীয়মান বাড়িতেই কারখানা তৈরি করেছিল মুঙ্গেরের অস্ত্র কারবারীরা এমনটাই দাবি এসটিএফের কর্তাদের।
গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, ওই কারখানা থেকে ১০০টিরও বেশি অসম্পূর্ণ সেভেন মিলিমিটারের পিস্তল পাওয়া গিয়েছে। সঙ্গে পাওয়া গিয়েছে অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় লেদ মেশিন-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম।
এসটিএফ সূত্রে খবর, এ মাসের ১৩ তারিখ নারকেলডাঙা এলাকা থেকে জাল নোটের বিনিময়ে অস্ত্র কেনাবেচার সময় ছ’জনকে পাকড়াও করেন গোয়েন্দারা। তাদের মধ্যে ছিল মুঙ্গেরের মহম্মদ নিজাম, মহম্মদ নৌশাদ, রোহিত সাহিল নামে তিনঅস্ত্র কারবারি। তাদের জেরা করেই জানা যায়, এবার আর কলকাতার আশপাশে নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের দুর্গাচকে অস্ত্র তৈরির কারখানা বানিয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: মদের আসরে বন্ধুর স্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের জেরেই খুন বেহালায়!
আরও পড়ুন: মুকুলের হাত ধরে ‘ভাইপো’ বিজেপিতে, অনুব্রত বললেন ‘চিনিই না, পাগল সব’
শুক্রবার সকালে সেখানে হানা দেন গোয়েন্দারা। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে অসম্পূর্ণ অস্ত্র। ওই ঘাঁটিতে বসেই মালদহের জালনোটের কারবারিদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল অস্ত্র কারবারিরা। জাল নোটের করিডর ধরেই তৈরি হওয়া অস্ত্রের একটা অংশ পাঠানো হচ্ছিল বাংলাদেশে। এসটিএফ সূত্রের খবর, ধৃতদের জেরা করে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে অস্ত্র তৈরির বড়সড় বরাত পেয়েছিল ওই চক্র। সেই বরাত সরবরাহ করার জন্যই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল। তবে গোয়েন্দাদের দাবি, এখনও তাঁরা জানতে পারেননি কারা ওই বরাত দিয়েছিল। কাদের জন্য ওই অস্ত্র তৈরি করা হচ্ছিল তা জানতে জেরা করা হচ্ছে ধৃতদের।
(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খবর আমাদের রাজ্য বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy