Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Utilization Certificate

ইউসি পেয়েছে কেন্দ্র, নথি দিয়ে বিধানসভায় দাবি পঞ্চায়েতমন্ত্রীর

রাজ্যের পাওনা আটকে রাখা আর কেন্দ্রের দেওয়া অর্থ ব্যবহারের প্রমাণপত্র না দেওয়ার অভিযোগে বহু দিন ধরেই পরস্পরের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি।

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৭:৪৫
Share: Save:

কেন্দ্রীয় বরাদ্দ খরচের শংসাপত্র বা ইউসি (ইউটিলাইজ়েশন সার্টিফিকেট) নিয়ে তোলা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। এই সংক্রান্ত নথিও সোমবার বিধানসভায় জমা দিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত মন্ত্রীর দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে ইউসি পেয়েছে, সেই রকম ৬৫টি প্রাপ্তিস্বীকারের চিঠি স্পিকারের কাছে জমা দিয়েছি। বিজেপির বিধায়কেরা সেগুলি দেখে নিতে পারেন।’’

রাজ্যের পাওনা আটকে রাখা আর কেন্দ্রের দেওয়া অর্থ ব্যবহারের প্রমাণপত্র না দেওয়ার অভিযোগে বহু দিন ধরেই পরস্পরের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। সিএজি রিপোর্টকে সামনে রেখে তৃণমূলের তোলা কেন্দ্রীয় ‘বঞ্চনা’র অভিযোগ খারিজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকারও। এই তরজার উত্তাপ পৌঁছেছে বিধানসভায়ও। পঞ্চায়েতের দফতর ভিত্তিক বাজেট আলোচনায় এ দিন পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইউসি দেওয়া হয়নি বলে ওরা (বিজেপি) যা প্রচার করছে, তা অসত্য। দিনক্ষণ-সহ সেই সার্টিফিকেটের প্রাপ্তিস্বীকারের চিঠিই তার প্রমাণ।’’ তাঁর দাবি, ১০০ দিনের কাজের নিশ্চয়তা প্রকল্পের মতো একই ঘটনা ঘটেছে প্রধানমন্ত্রী আবাস প্রকল্পের ক্ষেত্রেও।

সরকারের এই দাবি উড়িয়ে বিরোধী দলের সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‘এই নিয়ে যা বলার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লোকসভায় বলেছেন। এই সরকারের কোনও কাজেই স্বচ্ছতা নেই। ভূরি ভূরি দুর্নীতি হয়েছে এই দুটি কেন্দ্রীয় প্রকল্পেই।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘স্বচ্ছতা থাকলে সরকার সিএজি রিপোর্ট বিধানসভায় আনছে না কেন?’’

রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অস্বছতার অভিযোগ তুলে ১০০ দিনের কাজে বিরোধীরা বারবারই ‘ভুয়ো’ জব কার্ডের বিষয়টি সামনে এনেছে। বিধানসভার অধিবেশনেও বিজেপির বিধায়কেরা এ রাজ্যে বাতিল হওয়া জব কার্ডের সংখ্যাকেই সেই অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পঞ্চায়েতমন্ত্রী অবশ্য এই অভিযোগের জবাবে বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলির সঙ্গে এ রাজ্যের তুলনা টেনেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাতিল হওয়া ভুয়ো কার্ডের সংখ্যা বাংলার থেকে অনেক বেশি।’’

মন্ত্রীর দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশে বাতিল হয়েছে যথাক্রমে ৫ লক্ষ ৯১ হাজার ৭৫ এবং ৪০ হাজার ২৯০টি কার্ড। ওই বছরে এ রাজ্যে বাতিল হয়েছে ২৭ হাজার ৭৪১টি। পরের অর্থবর্ষে উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতে বাতিল হয়েছে দু’লক্ষ দু’হাজার ১০৪ ও ১৩ লক্ষ ১হাজার ৮৬টি। এই সময়ে এ রাজ্যে বাতিল হয়েছে ১৯ হাজার ৩৭৩টি কার্ড।

অন্য বিষয়গুলি:

100 days work Pradip Majumder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy