কালীপুজোর বিসর্জন নিয়ে সতর্ক সেট দফতর। ছবি সংগৃহীত।
দুর্গাপুজোর বিসর্জনে মাল নদীর বিপর্যয় দেখেছে রাজ্য। এ বার কালীপুজোর বিসর্জন এবং ছট পুজো নিয়ে আধিকারিকদের সতর্ক করল সেচ দফতর। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের বৈঠকে মূলত কলকাতা-সহ ছ’টি জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে। এ ছাড়াও, আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কথা মাথায় রেখেও উপকূলীয় জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে।
সেচ দফতর জানায়, ২৫ ও ২৬ অক্টোবর ভরা কোটাল আছে। তার জেরে বান আসতে পারে। গঙ্গা ও তার উপনদী, শাখানদীতে তার প্রভাব বেশি পড়বে। তাই কালীপুজোর বিসর্জনের ক্ষেত্রে কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ-দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি জেলার প্রশাসনকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। সেচ দফতর জানাচ্ছে, সাগরে ২৫ অক্টোবর সকাল ৯টা ৪৪ মিনিটে জলস্তরের উচ্চতা থাকবে ৫.৬৩ ফুট। এই ধরনের নানা তথ্য জেলাগুলির প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। আধিকারিকেরা জানান, কটাল কিংবা বানের সময়ে হেরফের হতেও পারে। তা-ই প্রশাসনকে বলা হয়েছে সময় সম্বন্ধে সতর্ক থেকে তা নিয়ে এলাকায় প্রচার করে মানুষকে সতর্ক করতে।
সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক জানান, সব জায়গায় জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেচ দফতরের আধিকারিকেরা কন্ট্রোল রুমে হাজির থাকবেন। একইসঙ্গে ছট পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে সেচ দফতরের কন্ট্রোল রুমও চালু থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়ের নির্দিষ্ট লক্ষ্যস্থল জানা না-গেলেও দুই ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে প্রভাব বেশি পড়বে। তাই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো, বাঁধ পরিদর্শন এবং মেরামতি করতে বলেছে সেচ দফতর। সেচমন্ত্রী বলেন, “ঘূর্ণিঝড়গুলি সাধারণত সুন্দরবন এলাকাতেই প্রভাব বেশি ফেলে। এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ সেই দিকে কি না, তা স্পষ্ট নয়, তবে জেলা প্রশাসনকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy