Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Corona

করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কায় শিশুদের জন্য ১১,৬৫০ শয্যা তৈরি রাখছে রাজ্য

 শিশু ও মায়েদের জন্য ১০ হাজার জেনারেল করোনা শয্যা প্রস্তুত করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। যাতে প্রয়োজনে মায়েরাও থাকতে পারেন।

করোনার তৃতীয়  ঢেউ সামলাতে তৈরি হচ্ছে রাজ্য।

করোনার তৃতীয় ঢেউ সামলাতে তৈরি হচ্ছে রাজ্য। ছবি-- সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২১ ২২:০১
Share: Save:

করোনার প্রথম দুই ঢেউয়ের তুলনায় তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি শিশু করোনা আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিশু ও মায়েদের জন্য ১০ হাজার জেনারেল করোনা শয্যা প্রস্তুত করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতরের নজর রয়েছে পিকু, এসএনসিইউ এবং শিশুদের এইচডিইউ পরিষেবা বাড়ানোর দিকেও। করোনা আক্রান্ত শিশুর সঙ্গে থাকবেন মায়েরাও। ইতিমধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি জেলার স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে পরিকাঠামো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে যাতে সেই প্রস্তুতি শেষ হয় তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। ভেন্টিলেটর থেকে পাল্স অক্সিমিটার যাবতীয় যন্ত্রপাতি-সহ অগস্টের মধ্যে শিশুদের ওয়ার্ড এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ারের প্রস্ততি শেষ করার লক্ষ্য স্থির করেছে স্বাস্থ্য ভবন।

করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার পরিকাঠামো পরিকল্পনা

৩ মাস থেকে ১২ বছর বয়সি মৃদু এবং মাঝারি উপসর্গ যুক্ত করোনা আক্রান্ত বাচ্চাদের জন্য রাজ্যে ১০ হাজার কোভিড মহিলা এবং শিশুদের শয্যা প্রস্তুত করা হবে।

করোনা আক্রান্ত ১ থেকে ৯০ দিনের শিশুদের জন্য প্রায় ৩৫০ এসএনসিইউ শয্যা বরাদ্দ করা হচ্ছে। রাজ্যে মোট এসএনসিইউ-এর ২০ শতাংশই মৃদু থেকে গুরুতর অসুস্থ করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করা হচ্ছে।

তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই গুরুতর অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসাক কথা মাথায় রেখে ১৩০০ পিকু বেডের প্রস্তুতি শেষ করা হবে। রাজ্যের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজ, জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতালেই পিকুর পরিকাঠামো তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

এ ছাড়াও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে জেলা হাসপাতাল পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থাও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা টেলি কনসালটেশন ব্যবস্থাও রাখতে হবে হাসপাতালগুলোকে।

বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাপ্তবয়স্কদের চিকিৎসার জন্য যে ১৩০০ সিসিইউ, এইচডিইউ রয়েছে প্রয়োজনে যাতে সেগুলিকেও করোনা আক্রান্ত শিশুদের পিকু পরিষেবায় ব্যবহার করা যায় তারও প্রস্তুতি রাখতে হবে।

এ ছাড়াও শিশুদের চিকিৎসার জন্য এখন থেকেই নার্স, আশা কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু করতে হবে জেলাগুলোকে।

করোনা আক্রান্তের নিরিখে কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা রাজ্যের তালিকায় প্রথম দিকে থাকে। শিশুদের চিকিৎসা পরিকাঠামো বাড়ানোর ক্ষেত্রেও এই দুই জেলায় নজর দেওয়া হয়েছে। কলকাতার ১০টি হাসপাতালে ২৪০ টি পিকু শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার ১২টি হাসপাতালে ১৩৫ টি শয্যা গুরুতর অসুস্থ শিশুদের জন্য বরাদ্দ করা-সহ রাজ্যের ৯১টি হাসপাতালে পিকু পরিষেবা জোরদার করা হচ্ছে।

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ৭০টি হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসায় এসএনসিউ পরিষেবায় শয্যা বাড়ানো হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Children Hospital Corona bed Critical
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE