বাহিনী নিয়ে কি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন? — ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত ভোটে সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে বলে কলকাতা হাই কোর্টের যে নির্দেশ, তাকে চ্যালেঞ্জ করে কি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন? শনি এবং রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকবে। তাই ‘ই-ফাইলিং’ করার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে নবান্নের একটি সূত্রের খবর। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও কি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে? নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি।
হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সেই নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। হাতে রয়েছে কেবলমাত্র শনিবার। তার মধ্যেই কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। যদিও হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খোলা। কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন কি সত্যিই সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে? শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি, ফলে তা নিয়েই চলছে জল্পনা।
একটি সূত্রের দাবি, নবান্ন মনে করছে, আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের উপর। দস্তুর হল, কোথায় কত পুলিশ লাগবে, নির্বিঘ্নে ভোট করাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে নির্বাচনী নিরাপত্তার কাজ সম্পন্ন করবে কমিশন। অর্থাৎ, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি রাজ্য সরকারই কমিশনকে অবহিত করবে। নবান্ন মনে করছে, হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যকে এড়িয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে নবান্নের। শনি এবং রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ। এই অবস্থায় ‘ই-ফাইলিং’-এর মাধ্যমে মামলা নথিভুক্ত করানোর কথা ভাবছে নবান্ন। সেই কাজও চলছে বলে সূত্রের খবর।
কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশনও কি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে? কারণ, সূত্রের খবর, আদালত রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিলেও কমিশন এ বিষয়টি রাজ্যের সহায়তাতেই করে থাকে। ফলে স্বাধীন ভাবে বাহিনী মোতায়েনের রূপরেখা তৈরি করা কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। তা হলে কি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন? শুক্রবার এ প্রশ্নের কোনও স্পষ্ট জবাব মেলেনি। কমিশনার রাজীব দফতর থেকে বেরোনোর পথে সাংবাদিকদের স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি। যদিও বৃহস্পতিবার তিনিই জানিয়েছিলেন, হাই কোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা হবে।
হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য সরকার যে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে, তা আঁচ করে আগেই শীর্ষ আদালতে ক্যাভিয়েট দাখিল করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী।
হাতে সময় ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। হাই কোর্টের নির্দেশমতো শনিবারের মধ্যেই কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন জানাতে হবে। ফলে শনিবারই এ নিয়ে স্পষ্ট পদক্ষেপ আশা করা যায়। এ দিকে শুক্রবার নিরাপত্তা নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কমিশনের দফতরে ঘণ্টাখানেক বৈঠক হয় স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকা এবং এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ শামিমের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy