শুক্রবার বিজয়গঞ্জ বাজারে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। —নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড়ের ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি তাঁর কথা হয়েছে? ভাঙড়ে সাংবাদিক বৈঠকে এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমার সাংবিধানিক সহকর্মী। আমাদের মধ্যে যা কথা, তা বাইরে বলার নয়।’’ পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন-পর্বে অশান্তির ঘটনায় রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে রাজীব সিংহের নিয়োগের পর থেকেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন শুভেন্দু। বুধবার বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন, ‘‘এই কমিশনার মুখ্যমন্ত্রীর নিজের লোক। রাজ্যপালের সঙ্গে সমঝোতা করে একে বসানো হয়েছে।’’ বৃহস্পতিবারও রাজ্যপালকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। সরব হয়েছেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিও। তার পরই বৃহস্পতিবার রাতে মনোনয়নে অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালের বিবৃতি প্রকাশ্যে আসে। শুক্রবার ভাঙড়ে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট করলেন না আনন্দ বোস।
রাজ্যপাল বলেন, ‘‘কয়েকটি এলাকায় দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেছি। তথ্য সংগ্রহ করেছি। যা দেখেছি, যা শুনেছি, তা খতিয়ে দেখব। বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে বাংলার মানুষের। গণতন্ত্রের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে হবে। সাংবিধানিক ভাবে হিংসাকে নির্মূল করতে হবে। হিংসা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’’
ভাঙড় কলেজে আইএসএফ কর্মীদের সঙ্গে কথা রাজ্যপালের। মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আইএসএফ কর্মীরা। রাজ্যপালকে অভিযোগ জানাতে কলেজের বাইরে জমায়েত করেছিলেন তাঁরা। খবর পাওয়ার পরই আইএসএফের দুই কর্মীকে বৈঠকে ডাকেন রাজ্যপাল। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল। ওই কর্মীরা বলেন, ‘‘সমস্ত অভিযোগ জানিয়েছি রাজ্যপালকে। তিনি সব শুনেছেন।’’
ভাঙড় কলেজে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কলেজের বাইরে রয়েছেন আইএসএফ কর্মীরা। মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ রাজ্যপালকে জানাবেন তাঁরা।
রাজ্যপালের ভাঙড় সফরকে ‘সাধুবাদ’ জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যে ভাবে ভাঙড়ে গেলেন, তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। এই পদক্ষেপ শুভবার্তা দেয়। রাজ্যপালকে নিশ্চিত করতে হবে যে, বাংলায় নির্ভয়ে ভোটে অংশ নিতে পারবেন সকলে। তা না হলে, মানুষের আসল কাজ হবে না। সন্ত্রাসের বাংলা হয়ে গিয়েছে এখন।’’
ভাঙড়ে বিক্ষোভ আইএসএফ কর্মীদের। মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁদের। মনোনয়নপত্র হাতে নিয়ে জমায়েত করেছেন তাঁরা। রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাবেন আইএসএফ কর্মীরা।
ভাঙড় ১নং ব্লক অফিসে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এর আগে ভাঙড় ২নং ব্লক অফিসে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানে কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে।
ভাঙড়ে বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। তার পর যান ভাঙড় ২ নং ব্লক অফিসে। সেখানে কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গে। এর আগে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল।
বিজয়গঞ্জ বাজার ঘুরে দেখার পর ভাঙড়ে ২ নং বিডিও অফিসে পৌঁছলেন রাজ্যপাল। কথা বলছেন আধিকারিকদের সঙ্গে।
ভাঙড়ে গিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কথা বললেন পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও।
ভাঙড়ে পৌঁছে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে অশান্তির ঘটনার বিবরণ স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে চাইছেন রাজ্যপাল।
বিজয়গঞ্জ বাজারে পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার ওই এলাকাতেই অশান্তির ঘটনা ঘটে। এলাকা ঘুরে দেখছেন রাজ্যপাল। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
ভাঙড়ে পৌঁছনোর পর বিজয়গঞ্জ বাজারের দিকে যাচ্ছেন রাজ্যপাল। হেঁটে ওই এলাকায় যাচ্ছেন রাজ্যপাল। মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি হয়েছিল ওই এলাকায়।
ভাঙড়ে পৌঁছলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে অশান্তির ঘটনা ঘটেছে ভাঙড়ে। শুক্রবার সেখানে যাচ্ছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সকাল ১০টায় রাজভবন থেকে ভাঙড়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন ঘিরে বৃহস্পতিবার তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে সংঘর্ষ হয় ভাঙড়ে। ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক জন আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। অপর দু’জন তৃণমূলের কর্মী রশিদ মোল্লা এবং রাজু নস্কর।
পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন পর্বে অশান্তির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিবৃতি প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি লিখেছেন, ‘‘নির্বাচনের প্রাক্কালে বাংলায় মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। এতে আমি স্তম্ভিত। গুন্ডাদের হাতে আক্রান্ত সংবাদমাধ্যমও। নির্বাচনে জয় নির্ভর করে ভোটের সংখ্যার উপর। মৃতদেহের সংখ্যার উপর নির্ভর করে নয়।’’ এর পরেই রাজ্যপালের মন্তব্য, ‘‘গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত। তার মানে গণতন্ত্র আক্রান্ত। সাধারণ মানুষ আক্রান্ত। দেশের সংবিধান আক্রান্ত। নতুন প্রজন্মও আক্রান্ত। শয়তানের এই খেলা বন্ধ হওয়া উচিত।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘গণতন্ত্রে মানুষই প্রভু। নির্ভয়ে নিজের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে তাঁদের। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও জায়গা নেই।’’ হিংসার রাস্তা অবিলম্বে বন্ধ করার বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy