রাজ্য সরকার ঠিক কী করতে চাইছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁরা ফিরে গিয়ে সেটাই জানাবেন গ্রামবাসীদের। এ দিনের বৈঠকের পরে আন্দোলন চলবে কি না, মহাসভার সব
সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান নেতারা।
ফাইল চিত্র।
ডেউচার বাসিন্দারা যদি না-চান, সেখানে খনি হবে না এবং মানুষের অমতে জোর করে প্রকল্পের জন্য জমি নেবে না রাজ্য সরকার। বুধবার ডেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্প এলাকার আন্দোলনকারী সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বার্তা দিয়েছেন বলে ওই সংগঠনের নেতাদের দাবি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এ দিন সংবাদমাধ্যমকে কিছু জানাননি। তবে তাঁর ‘বার্তা’য় আন্দোলনকারীরা যে যথেষ্টই স্বস্তিতে, দিনশেষে সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এ দিন দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভার প্রতিনিধিরা। পরে মহাসভার অন্যতম নেতা গণেশ কিস্কুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের জানিয়েছেন, ডেউচার মানুষ না-চাইলে সেখানে খনি হবে না। ওই নেতা বলেন, ‘‘আমাদের ওখানে পিতৃপুরুষের ভিটে। জল, জঙ্গল সব নিয়ে আমাদের জীবন। সেই জায়গা আমরা ছাড়ি কী করে! ওখানে খনি হোক, কেউ চায় না।’’ মমতার সঙ্গে দেখা করার পরে তাঁদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, আজ, বৃহস্পতিবার আলোচনায় বসে তাঁরা সেটা ঠিক করবেন বলে জানান কিস্কু।
ওই সংগঠন সূত্রের খবর, আন্দোলকারীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা’ মামলা তুলে নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, পাথর খনি এলাকায় অসাধু চক্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করতে হবে। সংগঠনের অন্য এক নেতা জানান, গ্রামবাসীদের ভুল বোঝানো হয়েছিল।
রাজ্য সরকার ঠিক কী করতে চাইছে, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কাছে সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তাঁরা ফিরে গিয়ে সেটাই জানাবেন গ্রামবাসীদের। এ দিনের বৈঠকের পরে আন্দোলন চলবে কি না, মহাসভার সব
সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy