অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ফের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন। প্রতীকী চিত্র।
কর্মপ্রার্থীদের লাগাতার আন্দোলন সত্ত্বেও শিক্ষায় নিয়োগের জট খুব একটা খোলেনি। গ্রন্থাগারের ক্ষেত্রেও নিয়োগের ছবিটা প্রায় সমান অনুজ্জ্বল। অর্থ দফতর অনুমোদন দিয়েছে ২২ মাস আগে। শূন্য পদে নিয়োগের জন্য রাজ্যপালের ছাড়পত্র মিলেছে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। কিন্তু রাজ্যের ২৩টি জেলা এবং শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এলাকা মিলিয়ে গ্রন্থাগারিকের ৭৩৮টি পদে নিয়োগের প্রশ্নে এক পা-ও এগোতে পারেনি সরকার। নয়া নিয়োগের প্রশ্নে নিরুত্তর থাকলেও চলতি সপ্তাহে এক নির্দেশিকায় নবান্ন জানিয়েছে, গত দু’বছরে সরকার পোষিত গ্রন্থাগার থেকে অবসরপ্রাপ্তেরা পুরনো পদের জন্য ফের আবেদন করতে পারবেন।
পুলিশ, বন, দমকল, সেচের পরে প্রায় থমকে যাওয়া নিয়োগের তালিকায় নতুন সংযোজন গ্রন্থাগার দফতর। নতুন প্রার্থীদের কথা না-ভেবে প্রাক্তনদের পুনর্নিয়োগ কেন, উঠছে প্রশ্ন। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, ‘‘কোষাগারের দিকে তাকিয়ে নতুন নিয়োগের বদলে অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের ‘রি-এনগেজ’ বা পুনর্নিয়োগ নীতির উপরে জোর দিতে বাধ্য হচ্ছে সরকার।’’ তাই সব জেলা গ্রন্থাগার দফতরের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন গত দু’বছরে অবসর নেওয়া কর্মীদের তালিকা জমা দেন। কর্মক্ষেত্রে ‘রেকর্ড’ ভাল থাকলে পুনর্নিয়োগের জন্য সেই সব প্রাক্তন কর্মী আবেদন করতে পারবেন।
জনসাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মনোজ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘কোষাগারে হাঁড়ির হাল। কিন্তু খেলা-মেলা-উৎসব চালিয়ে জনসাধারণের মন তো পেতে হবে। তাই হাজার হাজার শূন্য পদে লাইব্রেরি সায়েন্সের ডিগ্রিধারীদের ব্রাত্য করে পুনর্নিয়োগ করা হচ্ছে অবসরপ্রাপ্তদের!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy