Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
West Bengal Panchayat Election 2023

প্রতি বুথে অন্তত চার জন কেন্দ্রীয় জওয়ান, সঙ্গে রাজ্য পুলিশও, বাহিনীর প্রস্তাব মেনে নিল কমিশন

ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পিছু ৭-৮টি বুথও থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর বলেছিলেন, জওয়ানদের নিরাপত্তার স্বার্থেই বুথ পিছু অন্তত হাফ সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে।

বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান গত পঞ্চায়েত ভোটেও রাখা হয়েছিল।

বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান গত পঞ্চায়েত ভোটেও রাখা হয়েছিল। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৩ ১৬:১৩
Share: Save:

পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার কথা ভেবেই নিয়ে আসা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভাববে কে? রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় হিংসার ঘটনার উদাহরণ টেনে তাই প্রতি বুথে অন্তত হাফ সেকশন অর্থাৎ চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ভারপ্রাপ্ত কোঅর্ডিনেটর এবং বিএসএফের আইজি। সেই সঙ্গে বলেছিলেন রাজ্য পুলিশকেও পাহারায় থাকতে হবে। শুক্রবার বাহিনী দেওয়া সেই সমস্ত প্রস্তাব মেনে নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে শনিবার সমস্ত বুথে অন্তত চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবে। তার পাশাপাশি থাকবে রাজ্য পুলিশও। বুথ দখল বা সম্ভাব্য হিংসা এড়িয়ে সুষ্ঠু ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে কমিশন।

আইজি বিএসএফ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটরের প্রস্তাব ছিল, প্রতি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও মোতায়েন করতে হবে। প্রতি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এক বা একাধিক বুথ থাকতে পারে। কখনও কখনও একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের অধীনে ৭-৮টি বুথও থাকতে পারে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর জানিয়েছিলেন, বাহিনীর জওয়ানদের নিরাপত্তার স্বার্থেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি এবং দু’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে হাফ সেকশন বাহিনী (অর্থাৎ ৫ জন জওয়ান। যার মধ্যে সক্রিয় থাকবেন চার জন) রাখতে হবে। এ ছাড়া, একটি ভোটকেন্দ্রে তিন-চারটি বুথ থাকলে কমপক্ষে এক সেকশন বাহিনী, পাঁচ-ছ’টি বুথ থাকলে কমপক্ষে দেড় সেকশন বাহিনী এবং সাতটি বা তার বেশি বুথ থাকলে অন্তত দু’সেকশন বাহিনী (যেখানে সক্রিয় থাকবেন ১৬ জন জওয়ান) মোতায়েন করতে হবে। এ ছাড়া ‘স্ট্রংরুম’, অর্থাৎ যেখানে ব্যালটবাক্স বা ইভিএম রাখা হয়, সেখানে এক কোম্পানি বাহিনী (৮০ জন সক্রিয় জওয়ান) মোতায়েন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বাহিনীর কোঅর্ডিনেটরের তরফে।

কোঅর্ডিনেটরদের যুক্তি ছিল, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা অবস্থা, তাতে জওয়ানদেরও ‘প্রাণহানির আশঙ্কা’ রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কমিশনের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটরদের। বৈঠকে যা সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তার ভিত্তিতেই এই প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। এর পর শুক্রবার সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Panchayat Election 2023
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy