প্রতীকী ছবি।
স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-এর ওয়েবসাইটে ঘোষিত তালিকায় তাঁদের নাম কয়েক ধাপ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে কিছু প্রার্থী কয়েক দিন আগে অভিযোগ করেছিলেন। সেই নালিশ নিরসনের আগেই প্রধান শিক্ষক-প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য এসএসসি-র মেধা-তালিকায় আবার উঠল গরমিলের অভিযোগ। এ বারের অভিযোগ, মেধা তালিকায় কিছু কিছু ‘র্যাঙ্ক’ বা ক্রম উধাও হয়ে গিয়েছে!
প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের জন্য কমিশনের ওয়েবসাইটে মেধা-তালিকা প্রকাশিত হয়েছে কয়েক দিন আগে। অভিযোগ, সেই মেধা-তালিকায় বেশ কিছু র্যাঙ্ক বেমালুম উধাও। যেমন, ৮২০ র্যাঙ্কের পরে ৮২১ নেই। ফের ৮২২ র্যাঙ্ক আছে। প্রশ্ন উঠছে, তা হলে ৮২১ র্যাঙ্ক পেলেন কোন প্রার্থী? তাঁর নামই বা এ ভাবে আড়াল করা হচ্ছে কেন? শুধু ৮২১ ক্রম নয়, মেধা-তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ১১২৫ এবং ১১২৭ নম্বরের মধ্যে ১১২৬ নেই। এই ভাবে ওই তালিকায় অন্তত ন’টি র্যাঙ্কের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ।
এর আগে কিছু প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন, প্রথমে সাইট খুলে তাঁরা নিজের নাম যত নম্বরে দেখেছিলেন, পরে সাইট খুলতে দেখা যায়, সেখান থেকে তাঁদের নাম এক বা একাধিক ধাপ নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ ওঠে, এই তালিকা-বিভ্রাটের পিছনে আছে সুপরিকল্পিত কারচুপি। কিছু প্রার্থীকে ভাল স্কুল পাইয়ে দেওয়ার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এটা করা হচ্ছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করে শিক্ষা শিবিরের একটি অংশ। শুধু তা-ই নয়, প্রথমে ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়াই হয়নি। প্রার্থী নিজের নাম দিয়ে খোঁজ করলে শুধু তাঁর নামটিই ভেসে উঠছিল। এতে কারচুপির সন্দেহ তীব্রতর হচ্ছিল। প্রচুর অভিযোগ আসার পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেয় কমিশন। শিক্ষা মহলের অনেকের অভিযোগ, কারচুপি যা করার, তা করে নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি!
আরও পড়ুন: সর্বশিক্ষায় বেতন বাড়ল সব কর্মীরই
তার পরে এ বার একেবারে র্যাঙ্ক গায়েব হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন শিক্ষা সংগঠন আবার সরব হয়েছে। কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘তালিকায় ওই ন’টি র্যাঙ্ক কেন নেই, এসএসসি-র ওয়েবসাইটে তার ব্যাখ্যা দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’’ বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘আমাদের সন্দেহ, যে-সব র্যাঙ্ক তালিকায় নেই, এসএসসি সেখানে পছন্দমতো প্রার্থী ঢোকাবে।’’
শিক্ষক শিবিরের একাংশের দাবি, মেধা-তালিকায় র্যাঙ্কের সঙ্গে প্রার্থীরা মোট কত নম্বর পেয়েছেন, তারও উল্লেখ থাকার কথা। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। সৌদীপ্তবাবুর প্রশ্ন, কেন ওয়েবসাইটের তালিকায় প্রার্থীর নম্বর দেওয়া হবে না? এই নম্বর জানতেও কি তথ্য জানার আইনে দেওয়া অধিকার প্রয়োগ করতে হবে? বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির অভিযোগ, যে-সব স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদ ফাঁকা আছে, এসএসসসি-র প্রকাশিত সেই তালিকাতেও গরমিল আছে।
আরও পড়ুন: ক্যামেরায় নজরদারির ভাবনা শুরু সুরঞ্জনের
তবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারের দাবি, ‘‘প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা নিয়োগের মেধা-তালিকায় স্বচ্ছতার অভাব নেই। প্রযুক্তিগত ত্রুটির জন্য কয়েকটি র্যাঙ্ক না-ও থাকতে পারে। ওটা শুধরে নেওয়া হবে।’’ এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষিকা পদের প্রার্থীদের কাউন্সেলিং শুরু হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy