ঝড়ে আবার গাছ ভেঙে পড়ে আটকে গিয়েছে রাস্তা। বুধবার শরৎ বসু রোডে। —ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
প্রকৃতির মার থেকে রাজ্যের আর রেহাই নেই। ঠিক এক সপ্তাহ আগে আমপানের হামলায় কলকাতায় ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৩ কিলোমিটার। বুধবারের কালবৈশাখী তাকে ছুঁতে না-পারলেও হাওয়া অফিস জানিয়েছে, এ দিনের ঝড়ের সর্বোচ্চ বেগ ছিল ঘণ্টায় ৯৬ কিলোমিটার। সাম্প্রতিক অতীতে এমন প্রবল কালবৈশাখী দেখা যায়নি। ঝড়কবলিত ও বানভাসি এলাকার মানুষ ফের বিপদে পড়েছেন। কলকাতায় আবার গাছ ও বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়েছে।
হুগলির আরামবাগে গাছ পড়ে এ দিন লালমোহন রায়গুপ্ত (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দু’জন আহত। দুর্গাপুরে বাজ পড়ে এক জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম গোপাল যাদব (৪০)। বাড়ি মাধাইপুরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাস জানান, বিহার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখা ছিল। সেটি দক্ষিণবঙ্গের দিকে সরেছে। অক্ষরেখার টানে জলীয় বাষ্প ঢুকেছে এবং বজ্রগর্ভ মেঘপুঞ্জ তৈরি করেছে। আবহবিজ্ঞানীরা জানান, এ দিন গাঙ্গেয় বঙ্গের উপরে সার দিয়ে মেঘপুঞ্জ তৈরি হয়েছিল। গণেশবাবু বলেন, ‘‘আগামী কয়েক দিন এমন পরিস্থিতি চলতে পারে।’’ রাতে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ঝড়ের সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
লালবাজার জানিয়েছে, এ দিন ঝড়ে কলকাতার রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, শরৎ বসু রোড এবং লেক রোডের সংযোগস্থল, বেলেঘাটা মেন রোড, চাউল পট্টি রোড, নারকেলডাঙা মেন রোড, রাজা বসন্ত রায় রোড-সহ কয়েকটি জায়গায় ফের গাছ ভেঙেছে। কাশীপুর রোড এবং চিৎপুর লকগেট উড়ালপুলের সংযোগস্থলে বাতিস্তম্ভ ভেঙে পড়ে। বাসন্তী হাইওয়েতেও গাছ পড়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় ঝড় হয় প্রায় ৪০ মিনিট।
আরও পড়ুন: আমপানের ক্ষত মেলায়নি, ফের বৃষ্টির সতর্কতা সুন্দরবনে, বইবে ঝোড়ো হাওয়াও
বসিরহাটের কাছে টাকি রোডে বিদ্যুৎস্তম্ভ ভেঙে পড়ে। ফের বাড়ির চাল উড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়েছেন বহু মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy