প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফরের আগেই হাওড়ায় বিক্ষোভ। শনিবার। ছবি সৌজন্য টুইটার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে শহরে পৌঁছবেন কী ভাবে? আকাশ পথে হেলিকপ্টারে না কি গাড়িতে? বেলুড় মঠেই বা যাবেন কোন পথে? জলপথে লঞ্চে না কি সড়ক পথে? কলকাতা এবং রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার সকাল পর্যন্ত তারা স্পষ্ট কোনও পরিকল্পনা জানতে পারেনি প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথের পরিকল্পনার দায়িত্বে থাকা স্পেশ্যাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)-এর কাছ থেকে। শুক্রবার রাত পর্যন্তও বার বার অ্যাডভান্স সিকিউরিটি লিয়াজঁ (এএসএল) মিটিংয়েও কিছুই চূড়ান্ত হয়নি। নবান্ন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছ থেকে দিল্লিতে বার্তা গিয়েছে শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে পারেন প্রধানমন্ত্রী। আর তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর রুট চূড়ান্ত করতে চাইছে না এসপিজি।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ঠিক ছিল, বেলা দুটোর সময় দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশে উড়বে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ বিমান। বিকেল ৪টের সময় কলকাতায় পৌঁছে তিনি সড়কপথেই যাবেন ‘ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং’-এর অনুষ্ঠানে। সেখান থেকে মিলেনিয়াম পার্ক হয়ে জলপথে লঞ্চে যাবেন বেলুড় মঠ। একই পথে ফিরে রাজভবন। সেই সূচি অনুযায়ী, রাত ৯ টা ১০ মিনিটের পর তাঁর সময় ‘রিজার্ভ’ রাখা হয়েছে। ওই সূচি থেকেই জল্পনা তৈরি হয় যে রাত ৯ টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজভবনে দেখা করতে পারেন মোদীর সঙ্গে।
যাদবপুরে বিক্ষোভ।
কিন্তু, তার পরেই ফের সেই সূচি পাল্টে যায়। এসপিজির তরফ থেকে জানানো হয়, দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে দিল্লি ছাড়বে প্রধানমন্ত্রীর বিমান। কলকাতায় পৌঁছে সেনার হেলিকপ্টারে সাড়ে ৪টের মধ্যে পৌঁছে যাবেন রেস কোর্সের মাঠে। সেখানে ৫টা ১০ পর্যন্ত তিনি বিশ্রাম নেবেন। এই সূচি অনুযায়ী সড়কপথে বেলুড় যাবেন মোদী। রেস কোর্সের গ্রিন রুমে প্রায় আধ ঘণ্টা কাটানোর কথা ওই সূচি অনুযায়ী। সেখান থেকে ফের জল্পনা তৈরি হয়, রেস কোর্সেই হবে মোদী-মমতা একান্ত বৈঠক।
যদিও এ দিন সকালে ফের বদলে যায় যাত্রা সূচি। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলেই দিল্লিতে বার্তা যায়, মমতা সরকার প্রধানমন্ত্রীর যাত্রা পথে কোনও ধরনের বিক্ষোভ, কালো পতাকা দেখানো বরদাস্ত করবে না। পুলিশের ব্রিফিংয়েও শীর্ষ কর্তারা অধস্তনদের জানিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রীর যাত্রাপথে তাঁর দৃষ্টির সীমায় কোনও বিক্ষোভ বরদাস্ত করা হবে না। নবান্নের এক শীর্ষ আমলা বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী বিক্ষোভের মুখে পড়লে তা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে।”
অন্য দিকে, বাম-কংগ্রেস পরিকল্পিত ওই বিক্ষোভ যদি প্রশাসন হতে দেয়, তা হলে আদতে রাজনৈতিক ফায়দা হবে বিরোধীদেরই। তৃণমূলের নয়। সেখান থেকেই বিক্ষোভ কড়া হাতে সামলানোর বার্তা যায় নবান্ন থেকে। সূত্রের খবর, শনিবার সকালের পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী, ৪টে নয়, ৫টার সময় কলকাতায় পৌঁছবেন মোদী। সেখান থেকে সোজা সড়কপথে ‘ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং’-এর অনুষ্ঠানে। এর পর মিলেনিয়াম পার্কের অনুষ্ঠান সেরে সড়কপথেই বেলুড় যাতায়াত। এই সূচি অনুযায়ী, রাজভবনে রাত ৯টার পর ‘রিজার্ভ’ রাখা হয়েছে সময়। পরের দিন রবিবার সড়ক পথেই বিমানবন্দরে যাবেন মোদী। সূত্রের খবর, মোদী নিজেও সড়ক পথেই যাতায়াত করতে আগ্রহী ।
কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘শেষ মুহূর্তে ফের বদল হতে পারে সূচির। আমরা সব সম্ভাবনা মাথায় রেখেই বন্দোবস্ত করছি।”
যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই সূচি বদলে কোনও অস্বাবাভিকত্ব নেই। ভিভিআইপি-দের নিরাপত্তার স্বার্থে তিন চার রকম যাত্রা সূচি করা হয়। এটা রু়টিন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy