Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
R G Kar Protest

‘ষড়যন্ত্র’ অডিয়োর দ্বিতীয় স্বর কার? তৃণমূলের ইঙ্গিত সিপিএমের ‘ক’-এর দিকে, উদ্বেগ-শঙ্কা পিডিজি ভবনে

বাংলার শাসকদলের প্রথম সারির নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, “এই ‘ক’ হচ্ছেন সিপিএমের এক জন প্রথম সারির যুবনেতা।” ঘটনাচক্রে যাঁকে ‘স’ বলে সম্বোধন করা হয়েছিল তাঁর নাম সঞ্জীব।

—প্রতীকী চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০১:১৬
Share: Save:

তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ্যে এনেছিলেন (সেই অডিয়ো ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। অডিয়ো প্রকাশ্যে এনে কুণাল দাবি করেছিলেন সল্টলেকের স্বাস্থ্য ভবনের সামনে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থানে হামলা করে সরকারকে বিপাকে ফেলার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। সেই ফোনালাপের অডিয়োতে দুই ব্যক্তির মধ্যে কী কী কথা হয়েছে তার একটি লিখিত বয়ানও তৃণমূল প্রকাশ্যে আনে। তাতে এক জনকে সম্বোধন করা হয় ‘স’ বলে। অন্য জনকে সম্বোধন করা হয় ‘ক’ বলে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় এক জন গ্রেফতার হয়েছেন। ধৃতের নাম সঞ্জীব দাস ওরফে বুবলাই। তার পরেই কৌতূহল তৈরি হয়েছে দ্বিতীয় কণ্ঠস্বর যাঁকে তৃণমূল ‘ক’ বলে সম্বোধন করেছে, তিনি কে?

বাংলার শাসকদলের প্রথম সারির নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, “এই ‘ক’ হচ্ছেন সিপিএমের এক জন প্রথম সারির যুবনেতা।” ঘটনাচক্রে যাঁকে ‘স’ বলে সম্বোধন করা হয়েছিল তাঁর নাম সঞ্জীব। তাঁকে ইতিমধ্যেই বিধাননগর পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ফলে, এটা স্পষ্ট যে সঞ্জীবের আদ্যক্ষর ‘স’। এখন সিপিএমের মধ্যে গুঞ্জন এই ‘ক’ কে?

সিপিএমের নেতারা প্রকাশ্যে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু বলছেন না। তবে ঘরোয়া আলোচনায় অনেকেই বলেছেন, পার্টি বড় বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ে গেল। শুক্রবার বেশি রাত পর্যন্ত ‘ক’-এর পরিচয় তৃণমূল প্রকাশ্যে আনেনি। কিন্তু কুণাল যে অডিয়ো প্রকাশ্যে এনেছিলেন তাতে তিনি জানিয়েছিলেন, এক জন অতি বাম সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত আর এক জন বাম যুব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত। কথোপকথনের দ্বিতীয় কণ্ঠ কার, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি উদ্বেগ, আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সিপিএমে। বিশেষ করে সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটিতে প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনের নেতারা ঘনিষ্ঠ আলোচনায় বলছেন, “যে সময়ে পার্টি মানুষের আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে পৃথক কর্মসূচি নিয়ে আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়াচ্ছিল, সেই সময় এমন ঘটনায় আমাদের দলের নেতার নাম জড়ানো নিঃসন্দেহে পার্টিকে বিড়ম্বনায় ফেলবে।”

এখন কৌতূহলের বিষয় হল, সঞ্জীবকে যেমন গ্রেফতার করেছে, ‘ক’-এর ক্ষেত্রেও কি সেই পথেই হাঁটবে পুলিশ? সিপিএমের উদ্বেগ এবং আশঙ্কা এই জায়গাতেই। দলীয় সূত্রে খবর, যে নেতাদের নাম ‘ক’ দিয়ে শুরু তাঁদের অনেকের কাছেই ফোন যেতে শুরু করেছে, “দাদা তুমি করেছ? দাদা তুমি?”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy