— প্রতীকী চিত্র।
দলীয় লাইনে সরাসরি বলা না হলেও প্রচারে বা ঘরোয়া আলোচনায় বামেরা এখনও দাবি করে থাকেন, গোপন আঁতাঁত রয়েছে তৃণমূল-বিজেপির। তাঁদের কথায়, ‘সেটিং’। এ বারে উল্টো আঁতাঁতেই তা ভাঙতে উদ্যোগী হয়েছেন বামেরা। নৈহাটি উপনির্বাচনে আসনটি সিপিআইএমএল-কে ছেড়ে দিয়েছে সিপিএম। এর ফলে এক দিকে যেমন নতুন বাম শক্তির সঙ্গে বামফ্রন্টের ঐক্যের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে, পাশাপাশি তার একটি পরীক্ষাও যেন হয়ে যাবে আগামী ১৩ নভেম্বর।
নৈহাটি বিধানসভা আসনটি ফাঁকা হয় পার্থ ভৌমিক ব্যারাকপুর লোকসভা আসন থেকে জিতে সংসদে যাওয়ার পরে। রাজ্যের আরও পাঁচটি কেন্দ্রের সঙ্গে ১৩ তারিখে সেখানেও ভোটগ্রহণ। তার আগে আপাতত সিপিআইএমএলের দেবজ্যোতি মজুমদারের তরণী বাইবার দায়িত্ব নিয়েছেন সিপিএমের স্থানীয় নেতা-কর্মীরাই। যাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সিপিএমের রাজ্য নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। গার্গী বলেন, ‘‘বাম ঐক্য প্রসারিত হচ্ছে অন্য রাজ্যেও। এখানে কেন নয়? তাই তো সিপিআইএমএলকে আসন ছেড়ে দেওয়া।’’ কিন্তু জয়ের আশা? এই সূত্রেই গার্গীর মুখে সেই ‘সেটিং’ তত্ত্ব। তাঁর কথায়, ‘‘তৃণমূল-বিজেপি আঁতাঁত তো বারবার স্পষ্ট হচ্ছে একাধিক ঘটনায়। জয়-পরাজয় পরের কথা, সেই আঁতাঁতের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মানুষের কাছে বিকল্প শক্তি হিসেবে পৌঁছতে চাইছি।’’
তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে এলাকায় পরিচিত সাংসদ পার্থের ঘনিষ্ঠ হিসাবে। তাঁর হয়ে শুক্রবার নৈহাটিতে প্রচারে এসেছিলেন ফিরহাদ (ববি) হাকিম। তিনি আবার বিজেপির সঙ্গে বামেদের এক বন্ধনীতে ফেলছেন। ববি বলেন, ‘‘নৈহাটির মানুষ বিবেচক। ‘বিজেপি ও বাম ঐক্যকে’ নয়, যিনি এলাকার মানুষের পাশে থাকেন, তাঁর পাশেই সাধারণ মানুষ থাকবেন।’’
চার দিন আর বাকি ভোটের। রাস্তায় টহল দিচ্ছে দশ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। নৈহাটিতে রোজ গড়ে তিরিশটা করে মিটিং-মিছিল হচ্ছে বিধানসভার একটি পুরসভা ও চারটি পঞ্চায়েত এলাকায়। কখনও দেখা যাচ্ছে সনৎকে, কখনও দেবজ্যোতি। কখনও বা বিজেপির রূপক মিত্র। কখনও আবার কংগ্রেসের পরেশ সরকার। এলাকার মানুষ জানাচ্ছেন, সনৎ আর পরেশকে তাঁরা একডাকে চেনেন। তুলনায় রূপক বা দেবজ্যোতি স্বল্প পরিচিত। জনসংযোগও কম। হালিশহরের রূপক অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘নৈহাটির মানুষের পাশে আছি। শাসকদলের অত্যাচারের জবাব মানুষ ভোটে দেবেন।’’ রূপকের হয়ে দিলীপ ঘোষ, শান্তনু ঠাকুরেরা প্রচার করে গিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy