ফাইল চিত্র।
বসন্ত এখনও ঠিক জাগ্রত না-হলেও আড়মোড়া ভাঙছে। তারই মধ্যে ‘নোটিস’ জারি করে জানান দেওয়া হয়েছে: প্রেম দিবসে উৎসব হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে! মনের মতো সঙ্গী বা সঙ্গিনী খুঁজে নাম নথিভুক্ত করুন। সঙ্গী বা সঙ্গিনী না-থাকলে ওই উৎসবে প্রবেশাধিকার মিলবে না।
নোটিসের বয়ান-কাঠামো অনুযায়ী গত ২ ফেব্রুয়ারির তারিখ উল্লেখ করে সেটি জারি করা হয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ জানান, ওই নোটিস ভুয়ো। কে বা কারা ওই নোটিস দিয়েছে, তাদের খুঁজে বার করতে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। একই রকম নোটিস দেওয়া হয়েছে বিশ্বভারতীর নামেও। তাতে তারিখ আছে ১ ফেব্রুয়ারি। সম্ভবত সেটিও ভুয়ো। এই বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করা হলেও বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিকের সাড়া মেলেনি।
যাদবপুরের নোটিসে বলা হয়েছে, নিজের সঙ্গী (ভ্যালেন্টাইন)-কে খুঁজে এনে যোগ দিতে হবে প্রেম দিবসের উৎসবে। যাঁরা একা, সঙ্গিহীন, তাঁরা কোনও ভাবেই ওই উৎসবে যোগ দিতে পারবেন না। নোটিসে আরও বলা হয়েছে, নিজের পুরুষ বা মহিলা সঙ্গীকে খুঁজে বার করে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ওই উৎসবের জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। সঙ্গী হিসেবে কোন পড়ুয়া কাকে বেছে নেবেন, সেটা একান্ত ভাবেই তাঁর নিজের সিদ্ধান্ত। সঙ্গী যে-কোনও বিভাগ, যে-কোনও বর্ষের হলেই হবে।
যাদবপুরের ওই ভুয়ো নোটিস সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুর নামে। বিশ্বভারতীর ক্ষেত্রেও রেজিস্ট্রারের নামেই ছড়িয়েছে নোটিস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে যাদবপুর থানা এবং লালবাজারের সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি করতেই এই ধরনের নোটিস ছড়ানো হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। রেজিস্ট্রার বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ওই ভুয়ো নোটিসে আমার সই জাল করা হয়েছে, যা আইনত অপরাধ এবং এটা খুবই বিপজ্জনক প্রবণতা। তাই পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য আমরা থানা এবং সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy