আচমকা ৬ মাসের ছুটিতে চলে গেলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী। আর তারপর থেকেই এই নজিরবিহীন লম্বা ছুটি নিয়ে তৃণমূলের ভিতরে ও বাইরে তীব্র জল্পনা তৈরি হয়েছে। ছুটি চেয়ে বর্ধমানের ডিভিশনাল কমিশনারকে চিটি লিখেছেন সভাধিপতি।
জেলা পরিষদের সর্বোচ্চ পদাধিকারী যে ছুটি নিয়েছেন, সোমবার সকালেই তা জানাজানি হয়। এমনকী জেলা তৃণমূল নেতৃত্বও তা আগে জানতে পারেননি। পরে বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসুকেও ছুটির আবেদনের কপি পাঠিয়েছেন বিকাশবাবু। আচমকা এই লম্বা ছুটির আবেদন নিয়ে তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। শুধু তাই নয়, ছুটির কারণ সম্পর্কে সভাধিপতি সংবাদমাধ্যমকে যা জানান, তাতে শাসক শিবিরের অভ্যন্তরীণ সমস্যা নিয়েও নানারকম চর্চা শুরু হয়।
ছুটি নেওয়ার কারণ জানিয়ে বিকাশবাবু বলেন, ‘‘আমার স্ত্রীর শরীর ভাল নয়। ছোট ছেলের বিয়ে। তাছাড়াও পারবারিক কাজ আছে। তাই ছুটি নিয়েছি।’’ দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে সহ সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘বিকাশবাবুর স্ত্রীর দু’বার স্ট্রোক হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। উনি নিজেই তো ছুটি চেয়ে চিঠি দিয়েছেন।’’
আরও পড়ুন: সুস্থকে বাড়ি পাঠাতে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি, তার পরেই উধাও রোগী, ফ্যাসাদে হাসপাতাল
সভাধিপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারীর আচমকা এত দীর্ঘ ছুটি অস্বাভাবিক মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই সূত্রেই আলোচনায় এসেছে, শাসক শিবিরের অভ্যন্তরীণ বিরোধের কথা। একটি সূত্রের দাবি, জেলা পরিষদের কাজকর্ম পরিচালনা ও নির্দিষ্ট একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে মতবিরোধের কারণেই সরে গিয়েছেন বিকাশবাবু। বিকাশবাবুর সঙ্গে জলা তৃণমূলের ‘একচ্ছত্র’ নেতা অনুব্রত মন্ডলের সম্পর্ক কেমন তা নিয়েও কানাঘুষো চলছে।
প্রশাসনিক কাজ থেকে ছুটি নিলেও তৃণমূলের পুরনো সংগঠক বিকাশবাবু অবশ্য জানিয়ছেন, ‘‘আমি দলের কাজে থাকব।’’ তবে এদিনই বোলপুরের বাসিন্দা বিকাশবাবুকে বোলপুরেই দলের জেলা সভাপতি অনুব্রতবাবুর মন্ডলের কর্মসূচিতে দেখা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy