ছবি: সংগৃহীত।
দূরপাল্লার ট্রেনে মাসখানেক আগেই ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু রেলের বেহাল আর্থিক পরিস্থিতির তেমন কোনও সুরাহা হয়নি তাতে। তাই আসন্ন বাজেটে শহরতলির লোকাল ট্রেনেও ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জল্পনা জোরদার হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে দূরপাল্লার ট্রেনের বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রতি কিলোমিটারে এক, দুই ও চার পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল। তাতে রেলের ভাঁড়ারে আসতে পারে ২৩০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। রেলকর্তাদের দাবি, ওই টাকায় যাত্রী পরিবহণ খাতে সামগ্রিক লোকসানের খুব অল্পই পূরণ হবে। শহরতলির ট্রেনে এখন রেলকে টাকায় ৪১ পয়সা ভর্তুকি দিতে হয়। দূরপাল্লার ট্রেনের অসংরক্ষিত শ্রেণিতে ভর্তুকির পরিমাণ প্রায় ৩৩ পয়সা। কলকাতা, মুম্বাই, চেন্নাইয়ের মতো শহরে লোকাল ট্রেন জন পরিবহণের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ওই ব্যবস্থায় যাতায়াত করেন। কিন্তু ওই খাতে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১৮১০ কোটি টাকা ।
ষাটোর্ধ্ব যাত্রীদের জন্য ভর্তুকি দিতে ফি-বছর প্রায় ১৬০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয় রেলের। যাত্রী পরিবহণ খাতে রেলের ব্যয়ের অঙ্ক প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ওই খাতে রেলের আয় হয় ১৬ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। অর্থাৎ লোকসানের অঙ্ক প্রায় ৩৫ হাজার কোটি।
আরও পড়ুন: বিকৃত মানচিত্র নিয়ে কালো তালিকাভুক্ত সেই সংস্থা
বছর পাঁচেক আগে, ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরের বাজেটে শহরতলির ট্রেনে ভাড়া বৃদ্ধির চেষ্টা করেও পরে শরিক দল শিবসেনার চাপে পিছিয়ে আসতে হয়েছিল কেন্দ্রকে। এ বার সেই পিছুটান নেই। তাই বাজেটে ঘাটতি মেটাতে শহরতলির ট্রেনে ভাড়া বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন রেলকর্তাদের বড় অংশ।
বেসরকারি ট্রেন চালিয়ে আয় বাড়ানোর চেষ্টা ছাড়াও প্রথম শ্রেণির বাতানুকূল ট্রেনে ইতিমধ্যেই ‘ফ্লেক্সি ফেয়ার’ চালু করেছে রেল। তাতে কিছু বাড়তি টাকা এলেও রেলের আর্থিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ কমেনি। ফ্লেক্সি ফেয়ারের দাপটে যাত্রী হারানোর মতো পরিস্থিতিরও সৃষ্টি হয়েছে। তাই রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল এ বারের বাজেটে কী পদক্ষেপ করেন, তা দেখতে মুখিয়ে আছেন সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy