Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
জঙ্গি সূত্র খুঁজতে তৎপরতা বাড়াল মালদহ, উত্তর দিনাজপুরে
Terrorism

যোগাযোগ খোঁজা শুরু

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মালদহের সামসি থেকে নিজামুদ্দিন আহমেদ ও আব্দুল বারি নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। নিজামুদ্দিনের বাড়ি ইটাহারের গাজিয়াহার এলাকায়।

প্রতীকী চিত্র

প্রতীকী চিত্র

গৌর আচার্য ও অভিজিৎ পাল
রায়গঞ্জ, ইসলামপুর শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০২:৩৫
Share: Save:

জামাত উল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে নাশকতা ষড়যন্ত্রের সন্দেহে এক বছর আগে ইটাহারের দুই বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স (এসটিএফ)। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই জঙ্গিগোষ্ঠীর ইটাহার মডিউল সামনে আসে বলে সেই সময় এসটিএফ দাবি করে। এবারে আল-কায়দার হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নাশকতার ষড়যন্ত্রের সন্দেহে শুক্রবার মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা ৯ জনকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। ধৃতদের মধ্যে ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদ থেকে। বাকি ৩ জন কেরল থেকে ধরা পড়ে। ওই ঘটনার পর উত্তর দিনাজপুর জেলায় নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ।

রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসপ্রীত সিংহ বলেন, “মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রায়গঞ্জ জেলা পুলিশ বিভিন্ন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ শুরু করেছে। ইটাহার, রায়গঞ্জ, হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ ও করণদিঘি থানা এলাকায় কোথাও কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপ বা নাশকতার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে পুলিশের হাতে কোনও তথ্য মেলেনি।”ইসলামপুর পুলিশ জেলার সুপার সচিন মক্কার বলেন, “পুলিশ বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে ইসলামপুর, চোপড়া, চাকুলিয়া, গোয়ালপোখর ও ডালখোলা থানার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর শুরু করেছে।” গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মালদহের সামসি থেকে নিজামুদ্দিন আহমেদ ও আব্দুল বারি নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। নিজামুদ্দিনের বাড়ি ইটাহারের গাজিয়াহার এলাকায়। আব্দুলের বাড়ি ইটাহারের কাশিমপুর এলাকায়। এসটিএফের দাবি, পেশায় হাতুড়ে চিকিৎসক নিজামুদ্দিন ও বেআইনি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির মালিক আব্দুল জেএমবির সক্রিয় সদস্য। দীর্ঘ দিন ধরে তাঁরা রোগীদের চিকিৎসা ও বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষার আড়ালে নাশকতার ষড়যন্ত্র ও ইটাহার সহ গোটা জেলায় জেএমবির জাল ছড়ানোর কাজ চালাচ্ছিলেন। ধৃতদের বাড়ি ও ল্যাবরেটরি থেকে এসটিএফ একাধিক ডিটোনেটর, ক্যাপাসিটর, ল্যাপটপ, বিভিন্ন নথি, রাসায়নিকের নমুনা, এলইডি লাইট, লোহা কাটার যন্ত্র সহ বিভিন্ন সামগ্রী উদ্ধার হয়।

পুলিশের দাবি মুর্শিদাবাদের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে ইটাহার ছাড়াও জেলার বাকি ন’টি থানা এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ ছিল কিনা, তা জানতে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। ওই কাজে ডিআইবি, সংশ্লিষ্ট এলাকার গ্রামীণ পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও নামানো হয়েছে। জেলার কোনও এলাকায় নতুন করে জেএমবি জঙ্গিগোষ্ঠীর কার্যকলাপ বা নাশকতার ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, জেলার বাংলা বিহার সীমানা ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Terrorism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy