মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয় পেয়েছেন ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনে। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে রাজভবন-বিধানসভার মধ্যে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় মুখ্যমন্ত্রীকে নিজে শপথবাক্য পাঠ করাতে চান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বিস্তর আপত্তি রয়েছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। উভয়েই ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়ে দিয়েছেন, রাজভবনে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হলে তাঁরা যাবেন না। তাই মুখ্যমন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের তারিখ এখনও চূড়ান্ত যায়নি। যদিও শোনা যাচ্ছে, ৭ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার বিধায়ক হিসাবে শপথ নিতে পারেন মমতা। সোমবার বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বৈঠক হয়েছে বিমান ও পার্থর মধ্যে। সেই বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক তাপস রায়।
বিধানসভা সূত্রে খবর, গত সপ্তাহে রাজভবন থেকে একটি বার্তা এসেছে বিধানসভার সচিবালয়ে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, এর পর থেকে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবিধানিক ভাবে লোকসভার ক্ষেত্রে সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব দেশের রাষ্ট্রপতির। রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব পান রাজ্যের রাজ্যপাল। কিন্তু, প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাংসদ, বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল দিয়ে দেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে। তাই লোকসভা বা রাজ্যসভার নির্বাচনে জয়ী হলে সাধারণত সাংসদদের শপথবাক্য পাঠ করান প্রোটেম স্পিকার। স্পিকার নির্বাচন হয়ে গেলে, লোকসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পিকারকে। বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে। এ ক্ষেত্রে স্পিকারদের সেই ক্ষমতা দেন রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের দেওয়া সেই ক্ষমতা এ বার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
রাজভবন থেকে বিধানসভায় পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল এত দিন যে অধিকার স্পিকারকে দিয়েছিলেন, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, দশকের পর দশক ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা এই দায়িত্ব স্পিকারকে দিয়ে রেখেছিলেন। সেই অধিকারই আইন বলে ফিরিয়ে নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এই আবহে স্পিকার বিমান ও পার্থ মুখ্যমন্ত্রীর শপথ রাজভবনে হতে দিতে নারাজ। আগামী বুধবার মহালয়ার দিন থেকে পুজোর মেজাজে চলে যাবে গোটা রাজ্য। তাই তিন বিধায়কের শপথ কবে হবে তা এখনও ঠিক হয়নি। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য, ‘‘রাজ্যপাল যথার্থ ভাবেই নিজের ক্ষমতার ব্যবহার করেছেন।’’ যদিও তৃণমূল শিবির তেমনটা মনে করছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy